নিজস্ব প্রতিবেদক : জানুয়ারিতে ঘোষিত মূদ্রানীতির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী দ্বিতীয়বারের মতো বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে মে মাসে। আগের মাসের তুলনায় ০.৪৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে ১০.৩৫ শতাংশে পৌঁছেছে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি।
এই ঋণের প্রবৃদ্ধির হার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধ্যে ১৪ শতাংশ থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে ১০ শাতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এরপর থেকে লক্ষ্যমাত্রার আশেপাশেই রয়েছে প্রবৃদ্ধি।
ব্যাংকাররা বলছেন, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও ঋণের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় প্রবৃদ্ধির এই অবস্থা। একটি দেশের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি অপরিহার্য। কিন্তু ক্রমেই আমাদের দেশের বেসরকারি বিনিয়োগ কমছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি বছরের এপ্রিলে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯.৯০ শতাংশ। মার্চে এ খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০.৪৯ শতাংশ, যা ওই সময়ে নয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, দেশের অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক বাজারের মন্থর গতির কারণে ব্যবসায়ীরা নতুন করে ব্যবসা সম্প্রসারণ কম করছেন। এছাড়া ঋণের সুদ বেড়ে ১৪ শতাংশের বেশি হয়ে গেছে। যার কারণে ব্যবসায়ীরা ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সুদের হারকেও বিবেচনায় নিয়ে থাকেন। এছাড়া ধারবাহিকভাবে ডলারের রেট বাড়ছে। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা আমদানি করার ক্ষেত্রে নানা হিসাব করছেন। যার কারণে প্রবৃদ্ধি খুব বেশি বাড়াছে না।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমদানি এলসিতে মার্জিন আরোপ করায় গত দুই বছরে আমদানি ব্যাপক কমেছে। এখন প্রতি মাসে এলসি খোলা হচ্ছে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের। যদিও ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রতি মাসে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার করে এলসি খোলা হয়েছে। সে কারণে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি অনেক কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে কমেছে ৪.২৩ শতাংশ ও ১৩.৯৩ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৫১.৪৮ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৪৪.৩১ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২.৬২ শতাংশ। এরপর থেকে টানা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমেছে। তবে অক্টোবরে কিছুটা বেড়ে ১০.০৯ শতাংশ হয়েছিল; এরপর ফের নভেম্বরে কমে যায়। যদিও ডিসেম্বরে নভেম্বরের তুলনায় মার্জিনাল প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
ওকালতি পড়ে কৃষি উদ্যোক্তা : মাসুদের ‘হালাল আয়’ কোটি টাকারও বেশি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।