জুমবাংলা ডেস্ক : বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সাধারণ রোগীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ২টি নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’র পক্ষে করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে গতকাল সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এসব নির্দেশনা দেন। পরবর্তী শুনানির জন্য বিষয়টি হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন আদালত।
রিটের পক্ষে ভিডিও লিঙ্ক শুনানিতে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু মানুষের মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ জর, সর্দি, গলা ব্যথার বা অন্যান্য যে কোনো রোগের চিকিৎসা নিতে গেলে করোনার অজুহাতে ডাক্তাররা স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন না।
তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ডাক্তারদের চিকিৎসায়ও অনীহা দেখা যাচ্ছে। রোগীর চিকিৎসা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি ডাক্তার ও নার্সদের নিরাপত্তাও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রাথমিকভাবে করোনা রোগী বাছাই করাতে না পারলে সমস্যার সমাধান হবে না। এ কারণে প্রত্যেকটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রবেশ পথে/গেটে হলুদ জোন করে সকল রোগীর চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন।
মনজিল মোরসেদ বলেন, হলুদ জোনে দায়িত্বরত ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্যদের চিকিৎসার জন্য প্রযোজনীয় পিপিই, গ্লাভস, সার্জিকাল মাস্ক, অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ নিশ্চিত করার নির্দেশনা চেয়েছি। শুনানিতে তিনি আরও বলেন, এ রকম মহামারী প্রতিরোধে সংসদে আইন পাস করে উপদেষ্টা কমিটিকে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৮ এর ৬ ধারা অনুসারে উপদেষ্টা কমিটি যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছে কিনা তা নিশ্চিত হতে একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনাও চেয়েছি।
জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, অযথাই এ রিট করা হয়েছে। কারণ ইতোমধ্যেই এসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সরকারকে বিব্রত করতে এ মামলা করা হয়েছে। রিট করার মতো আইনের কোনো ব্যত্যয় এখানে হয়নি।
পাল্টা জবাবে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, সাধারণ মানুষের চিকিৎসার জন্য উপরস্থ কোনো রেফারেন্সে চিকিৎসা হতে পারে না। তাই সরাসরি চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে এ রিট করা হয়েছে। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে, পিপিই সংগ্রহ করা হয়েছে। এমনকি সংক্রামক আইনের ৩, ৫(২), ৭ ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। শুনানি শেষে আদালত দুটি নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা হচ্ছে (১) বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে দায়িত্বরত ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্যদের চিকিৎসার জন্য প্রযোজনীয় পিপিই, গ্লাভস, সার্জিকাল মাস্ক, অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবস্থা করতে হবে। (২) নির্দেশ প্রদানের এক সপ্তাহের মধ্যে মহামারী করোনা প্রতিরোধে উপদেষ্টা কমিটির নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সুপারিশসমূহ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে হবে।
রিটে উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল), বেসরকারি হাসপাতালে ও ক্লিনিক মালিক সমিতির চেয়ারম্যান-মহাসচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।