জুমবোংলা ডেস্ক : অসময়ে দেশের বিভিন্ন স্থঅনে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফারাক্কা বাঁধের প্রভাবে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে বয়ে চলায় এ অকাল বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, কুষ্টিয়া ও পাবনার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার উপরে বইছে পদ্মা নদীর পানি। এতে কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কুঠিবাড়ি রক্ষা বাঁধের কিছু অংশ ধসে পড়েছে। বাড়ছে গড়াই নদীর পানিও।
পদ্মার পানিতে তলিয়ে গেছে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী, শাহাপুর ও লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের নিচু এলাকা।
রাজবাড়ীতেও পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমা পেরিয়েছে। তবে রাজশাহীতে বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও ছুই ছুই করছে।
দীর্ঘ ১৬ বছর পর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে, বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে পদ্মার নদীর পানি। চরাঞ্চলে পানি ঢোকায় দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। একই অবস্থা রাজবাড়ীর নিচু এলাকায়।
আশ্বিনের বন্যায় তলিয়েছে বসতভিটা। মাথাগোঁজার ঠাই যতটুকু আছে তাতেই গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ১০ হাজার পরিবারকে।
একে ভারত থেকে আসা পানি তার ওপর বৃষ্টি, কষ্ট বাড়িয়েছে কয়েকগুন। ১৫০০ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে এ এলাকার মানুষ।
পানি বেড়ে ঘূর্ণি ও ভাঙন দেখা দেয়ায় দৌলতদিয়া ঘাটের একটি অংশে পারাপার বন্ধ আছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী এক সপ্তাহ পানি বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
পাবনায় পদ্মার পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার উপর দিয়ে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলে এরই মধ্যে প্লাবিত হয়েছে তিন উপজেলার কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ২০ গ্রামের মানুষ। এ অবস্থায় বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সঙ্কটে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছেন দুর্গতরা।
ভাঙনের মুখে রয়েছে বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়ী রক্ষা বাধ। পদ্মার পানি বেড়েছে ফরিদপুরেও। রাজবাড়ীতেও পদ্মা নদীর পানি বাড়ায় বৃদ্ধি নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
বিলীন হয়েছে ফসলি জমি, বসত ভিটা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এছাড়া পানি বন্দি হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার।