ছোটবেলা থেকেই ভূত নিয়ে মানুষের জল্পনা কল্পনার কোন শেষ নেই। এটার অস্তিত্ব থাকা বা না থাকা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। অনেক সময় ঘরে একা থাকলে তার অস্তিত্ব আছে বলে অনেকে মনে করেন। বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে গবেষণা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। ভূতের গল্প শুনতে শুনতে সাধারণ মানুষের মনে এর অস্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা তৈরি হয়।
মানুষের অবচেতন মন ভূতের অস্তিত্বের জায়গা করে দেয়। বিজ্ঞানের একটি মডেল অনুসারে একজন মানুষ অপরকে এটি সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করে। মানুষের অবচেতন মনের ক্রিয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে। আপনি ভূতকে যেভাবে কল্পনা করে থাকেন সেভাবে কোন এক জায়গায় তা দেখতে পারেন।
সংঘবদ্ধ বা দলবদ্ধ অবস্থায় মানুষ ভূত দেখেছেন এরকম ঘটনা তেমন ঘটে না। মানুষ যখন একা থাকে তখন এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। রাতের আঁধারে একাকিত্বের ভয় মনের মধ্যে থাকলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।
আসলে আমাদের মন তা সৃষ্টি করে। যে তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ আমাদের মনের মধ্যে ভূতের অনুভূতি সৃষ্টি করে তা নিয়ে গবেষণা করেছেন কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক। তিনি এক বিশেষ হেলমেট তৈরি করেন যা মানুষের মধ্যে ভূতের অনুভূতি সৃষ্টি করে।
গবেষণায় দেখা যায় যে, নির্জনে বা অন্ধকারে কেউ একা থাকলে হেলমেটটি ওই সময় পড়লে ভূতের ছায়া দেখতে পাওয়া যায়। যদিও বাস্তবে এ ধরনের কিছু নেই। মানুষের মন থেকে তা সৃষ্টি হয়। যাদের মধ্যে ভূতের অনুভূতি তৈরি হয় তাদের মধ্যে বিশেষ বৈদ্যুতিক তরঙ্গ কাজ করে থাকে।
২০০০ সালে এক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় দেখা যায় যে, ভূত বিশ্বাসীদের ব্রেইনের ডানপাশে বৈদ্যুতিক তরঙ্গ প্রবাহিত হয়ে থাকে। মস্তিষ্কের ডান অংশে এ তরঙ্গ অনেক বেশি সক্রিয় থাকে। মানুষের উপরে এ বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চালানো হয় এবং দেখা যায় যে, তার সামনে ছায়া মূর্তি ভেসে ওঠে। তার মানে মানুষের মন এমন কিছু তৈরি করতে সক্ষম যারা অস্তিত্ব বাস্তবে নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।