বৈরী আবহাওয়া ও রোগবালাইয়ের প্রভাবে চা উৎপাদনে ধস

Tea production

দেশে চায়ের উৎপাদন কমে গিয়েছে। তবে এটি নিয়ে আশঙ্কার কিছু নেই। সবমিলিয়ে এক কোটি কেজি চায়ের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। শ্রমিক আন্দোলনে চা-বাগান বন্ধ ছিল। এটি মূল কারণ। চায়ের উৎপাদন বন্ধ থাকার ফলে উৎপাদন কমে যাওয়ার দরুন বাজারে সংকট হবে বলে মনে করেন না কর্মকর্তারা।

Tea production

দেশে সব মিলিয়ে ১৮৯ টি চা বাগান রয়েছে। তবে শুধুমাত্র সিলেটে রয়েছে ১৫৩ টি চা বাগান। চা খাতে নানা সংকট চলার কারণে উৎপাদন কমে গিয়েছে। তাছাড়া চা খাতে খুব একটা লাভ নেই। সবদিক থেকে লোকসান চলছে। এ কারণে অনেকে আগ্রহ হারছেন।

সিলেটের তারাপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক রিংকু চক্রবর্তী বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে বৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, বৈরী আবহাওয়া এবং রোগবালাইয়ের কারণে আমরা সিজনে পাতা তুলতে পারিনি। উৎপাদনে ধস নেমে গেছে।’

বাগান মালিকরা বলছেন, রপ্তানির সুযোগ না থাকায় মিলছে না চায়ের ন্যায্য দাম। বিদুৎ, গ্যাস সংকট ও উচ্চ ব্যাংক সুদ হারের কারণেও পেছাচ্ছে এই খাত।সিলেট হাফিজ টি এস্টেটের পরিচালক এম এ জামান সোহেল বলেন, ‘প্রায় ৯–১০ মিলিয়ন কেজি চা এক্সেস হচ্ছে। এটা যদি আমরা এক্সপোর্ট করতে না পারি তাহলে আমরা আরও পিছিয়ে যাব। যে কোনো মূল্যে এটা এক্সপোর্টের ব্যবস্থা করতে হবে।’

চা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার উৎপাদন কমলেও বড় সংকট হবে না। বাংলাদেশ চা বোর্ডের যুগ্ম সচিব ড. পিযুশ দত্ত বলেন, ‘আমরা যাতে লো রেট অব ইন্টারেস্টে লোন পাই, এর জন্য শতভাগ চেষ্টা করছি। আমাদের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি।’ বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কারখানার উন্নয়ন ও সরকারি সহায়তা পেলে অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে দেশের চা শিল্প।