সাম্প্রতিক সময়ে বিজ্ঞানীরা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করে। বিজ্ঞানীরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর উপর নির্ভর করে একটি মেশিন লার্নিং সিস্টেম তৈরি করতে সক্ষম হয়। এ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে যে ভবিষ্যৎবাণী করেছে তা বেশ দুশ্চিন্তার কারণ।
এ গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পেরেছে যে, ভবিষ্যৎ দুনিয়া বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে সমস্যার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। ওই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেমকে বিজ্ঞানীরা প্রশ্ন করেছিল যে, পৃথিবীর তাপমাত্রা খুব বিপদজনক হয়ে উঠতে আর কতক্ষণ সময় লাগবে।
উত্তরে এই সিস্টেমটি যা বলেছে তা সবাইকে অবাক করে দিবে। কেননা এ উত্তরে আশা করার মত কোন কিছুই ছিল না। ঐ এআই জানাই যে, মাত্র ১০ বছরের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫° সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
যদি সত্যিই এমনটি ঘটে তাহলে পৃথিবীর অবস্থা ভবিষ্যতে আরো অবনতি হবে। এর ফলাফল হবে খরা, দুর্ভিক্ষ, বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি এবং বন্যপ্রাণীর সংখ্যা হ্রাস। প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য ছিল গ্রীন হাউস গ্যাস নির্গমনকে প্রতিরোধ করা।
কিন্তু বাস্তবে প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন করা অনেক কঠিন মনে হচ্ছে। বর্তমানে পৃথিবীর মানুষকে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.১ থেকে ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত মোকাবেলা করতে হচ্ছে।
প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী বৈশ্বিক তাপমাত্রা যেভাবে হোক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার কথা ছিল। কিন্তু বিজ্ঞানীদের তৈরি করা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম জানায় যে, ২০৫০ সালের মধ্যেই বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে যাবে।
যদি সত্যিই এটা ঘটে তাহলে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব অবশ্যই পড়বে। সমীক্ষা থেকে জানা যায় যে, ২০৩৩ থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে যাবে।
অন্যদিকে ২০৬৫ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ। গবেষকরা মনে করেন যে, বৈশ্বিক উষ্ণতা যত দ্রুত বৃদ্ধি পাবে মানুষ এবং বাস্তুতন্ত্রের পক্ষে এ পরিবেশের সঙ্গে খাপ-খাইয়ে নেওয়া ততই কঠিন হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।