জুমবাংলা ডেস্ক : মামাতো বোনের সঙ্গে দেখা করে আর বাড়ি ফেরা হয়নি রাশেদুল ইসলামের। পথেই সিএনজি চালিত অটোরিকশা-পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে চিরনিন্দ্রায় শায়িত হয় রাশেদ।
রাশেদুল ইসলাম ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫ নং গুপ্টি ইউনিয়নের শ্রীকালিয়া শফিক মৌলোভী বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে রাশেদ ছিল দ্বিতীয়। সে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ছিল।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন অটোরিকশা চালক মিনহাজ (২৬), যাত্রী ফরিদগঞ্জের দুলাল কর্মকারের ছেলে বিজয় কর্মকার (২০), আইয়ুব আলীর ছেলে শহীদুল ইসলাম (২৭)। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রাশেদের ফুপাতো ভাই জুয়েল পাটোয়ারী জানান, রাশেদ হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নে মামাতো বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে অটোরিকশা পিকআপভ্যানের সংঘর্ষে মারা গেছেন। রাশেদ হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের বিবিএস শাখার শিক্ষার্থী ছিল।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রশিদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন গুরুতর আহত হন। বুধবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাশেদুল ইসলাম মারা যান। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সিএনজি ও পিকআপ জব্দ করা হয়েছে।
Get the latest Zoom Bangla News first — Follow us on Google News, Twitter, Facebook, Telegram and subscribe to our YouTube channel.