নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের কালীগঞ্জে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের ক্ষেতে মরা গাছের ডাল দিয়ে পাখি বসার ব্যবস্থা করে ক্ষেতের ক্ষতিকারক পোকা-মাকড় নিধন পদ্ধতি (পার্চিং) ব্যবহার করায় কৃষকদের উদ্ধুদ্ধকরণের জন্য পার্চিং উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলার ২২টি ব্লকে একযুগে এ পার্চিং উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
উৎসবে পার্চিং এর উপকারিতা হিসাবে ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকা-মাকড় নিয়ন্ত্রন, কীটনাশকের ব্যবহার কমায়, ফসলের উৎপাদন খরচ কমায় ও পরিবেশ দূষণ মুক্ত রাখাসহ নানা বিষয়ে কৃষকদের মাঝে আলোচনা করা হয়।
এ সময় উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, কৃষক-কৃষানী, গণমাধ্যমকর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। তাই আমাদের লক্ষ্য ওই ১০ হাজার হেক্টর বোরো ধানের জমিতে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করা। একটি মাজরা পোকা এক সাথে গাদা আকারে ২৫০-৩০০টি ডিম পাড়ে। আর এই পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারে একটি ফিঙ্গে পাখি ১টি মাজরা পোকার মথ খাওয়া মানে ২৫০-৩০০টি মাজরা পোকা খেয়ে ফেলা। কারণ ১টি মাজরা পোকার মথ ফুটে ২৫০-৩০০টি কিরা হয় এবং এক সাথে ২৫০-৩০০টি ধানের শীষ ক্ষতি করে। সাধারণত ১ বিঘা জমিতে পাতা বিহীন শাখা প্রশাখা যুক্ত ৪-৫টি ডাল ধান রোপনের ৭-১০ দিনের মধ্যে পুঁতে দিতে হয়।
তিনি আরো বলেন, পার্চিং এর উদ্দেশ্য হলো পরিবেশ রক্ষার জন্য কীটনাশক ব্যবহার না করে কৃষকের খরচ কমিয়ে দেওয়ার একটি প্রকল্প যা বোরো ধানের ছয়টি ক্ষতিকারক পোকা যেমন মাজরা, পাতা মোড়ানো পোকা, বিপিএইচ, গান্ধী পোকা, লেদাপোকা দমনের জন্য। মাঠে মরা ডালপালা পুঁতে পোকা খেকো পাখি যেমন-ফিঙ্গে পাখি বসার ব্যবস্থা করা, যাতে পাখি ডালের উপর বসে ওইসব পোকা খেতে পারে। পার্চিং প্রযুক্তি হলো পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি। এতে কৃষক লাভবান হয় ও ফসলের উৎপাদন খরচ কমে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।