জুমবাংলা ডেস্ক : আর মাত্র কয়েকদিন পরেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আর এ উৎসবকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন নড়াইলে প্রতিমা তৈরিতে নিয়োজিত মৃৎশিল্পীরা। খবর ইউএনবি’র।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্তু প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। পূজামণ্ডপে দিনরাত চলছে শেষ মূহুর্তের প্রতিমা তৈরির কাজ।
দিকে দিকে শরতের কাশফুল জানান দিচ্ছে যে, চলে আসছে শারদীয় উৎসব। আগামী ৩ অক্টোবর দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এ উৎসব। তাই শহর-গ্রামাঞ্চলের পূজামণ্ডপগুলোতে চলছে প্রস্তুতিমূলক নানা কর্মকাণ্ড। আর এ সম্প্রদায়ের সব বয়সের লোকজন দিন গুনছেন আনন্দ উৎসবের।
দুর্গোৎসবে মণ্ডপের অন্যতম আকর্ষণ প্রতিমা। অধিকাংশ মণ্ডপে চলছে দোমাটি ও রঙের কাজ। রাত-দিন কাজ করে চলেছেন শিল্পীরা। এক একজন শিল্পী আকার ভেদে ৮/১২টি প্রতিমা তৈরির অর্ডার নিয়েছেন।
জেলা প্রশাসনের হিসাব মতে, এ বছর জেলায় ৫৮২টি দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। নড়াইল টাউন কালী বাড়ী, মিতালী সংঘ, বাধাঁঘাট, চরের ঘাট, রুপগঞ্জ বাজার কালীবাড়ী, সূর্যসেন ক্লাব, নিশিনাথ তলা, মহিষখোলা পূজা মন্দির, বরাশুলা পূজা মন্দির, শীতলাতলা মন্দির, সর্বমঙ্গলা কালী মন্দির, সর্দার পাড়া,ভাদুলীডাঙ্গা পূজা মন্দিরসহ জেলার প্রতিটি মণ্ডটে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছেন ডেকরেশনের কর্মীসহ কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্যরাও।
প্রতিমা শিল্পী চিত্ত কুমার পাল জানান, ‘তিনি এ বছর ১০ টি প্রতিমা তৈরি করছেন। পূজা আসন্ন হওয়ায় রাত জেগে কাজ করতে হচ্ছে। সময় মতো কাজ শেষ না করতে পারলে সমস্যায় পড়তে হবে। বাপ-দাদার এ পেশা ধরে রেখেছি, মজুরি তেমন পাওয়া না গেলেও, প্রতিমা তৈরিতে আলাদা আনন্দ পাই, তাই এ পেশা চালিয়ে যাচ্ছি।’
জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অশোক কুন্ডু জানান, নড়াইল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জেলা। আশা করি প্রতিবছরের মতো এবারও সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় উৎসব সম্পন্ন হবে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) জানালেন, পূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আশা করছেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দূর্গাপুজা সম্পন্ন হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।