Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home ব্যাংকে টাকা রাখলে কমে যাওয়ার শঙ্কা
    অর্থনীতি-ব্যবসা

    ব্যাংকে টাকা রাখলে কমে যাওয়ার শঙ্কা

    Saiful IslamFebruary 19, 20205 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : সাধারণ আমানতকারীরা ব্যাংকে টাকা রাখে মুনাফা পাওয়ার আশায়৷ কিন্তু কম সুদ হার আর মূল্যস্ফীতির ঊর্দ্ধগতির কারণে বছর শেষে টাকা পাওয়া যাবে তাতে প্রকৃত আয় কমে যেতে পারে৷ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এর ফলে মানুষের সঞ্চয় প্রবণতা কমবে৷

    সরকারি, বেসরকারি, বিদেশি মিলিয়ে বাংলাদেশে ৫৮ টি ব্যাংক রয়েছে৷ তাদের প্রত্যেকের ভিন্ন ভিন্ন সুদ হারে আমানতের প্যাকেজ আছে৷ এর মধ্যে ১৬ টি ব্যাংকের গড় সুদ হার ৫ ভাগের নীচে৷ ৩১ টি ব্যাংকই সুদ দিচ্ছে ছয় ভাগের কম৷ সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে অগ্রণী, জনতা, রূপালি ও সোনালী ব্যাংকের গড় সুদ হার চার থেকে সাড়ে চার ভাগের মতো৷

    বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সব মিলিয়ে দেশে ব্যাংক খাতে আমানতের বিপরীতে গড় সুদ হার পাঁচ দশমিক সাত ভাগ৷ অন্যদিকে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হারও দাঁড়িয়েছে সাড়ে পাঁচ ভাগের বেশি৷ এ কারণে ব্যাংকে টাকা রেখে সঞ্চয়কারীরা এখন আর প্রকৃত অর্থে লাভবান হতে পারছেন না৷ বরং তাদের জমা করা টাকার মূল্যমান বা আয় কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে৷

    ধরুন ব্যাংকে কেউ ১০০ টাকা জমা রেখেছেন৷ সুদ হার ছয় ভাগ হলে বছর শেষে তিনি ১০৬ টাকা পাবেন৷ কিন্তু মূল্যস্ফীতির হারও যদি ছয় ভাগ হয় তাহলে ১০০ টাকায় এখন যেই পণ্য বা সেবা পাওয়া যায় বছর শেষে তার জন্য ১০৬ টাকা খরচ করতে হবে৷ সেক্ষেত্রে ব্যাংকে টাকা জমা রেখে সেই টাকা থেকে কোনো আয় হবে না আমানতকারীদের৷

    এই অবস্থাকে সঞ্চয়ের জন্য মোটেও অনুকূল নয় বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা৷ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘এর অর্থ হলো মানুষের টাকা নাই হয়ে যাচ্ছে৷ দরিদ্র, মধ্যবিত্ত তাদের মূল সম্পদ হচ্ছে টাকা৷ তাদের সঞ্চয়ের অভ্যাস কমে যাবে৷ ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স যাকে বলছি, সেটা কমে যাবে৷”

    এখন ব্যাংকগুলো তাদের নিজেদের ব্যবসায়িক নীতি অনুযায়ী সুদ হার নির্ধারণ করে৷ এপ্রিল থেকে সেই সুযোগও তারা হারাবে৷ বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, তখন কোনো ব্যাংকই আমানতকারীদের ছয় ভাগের বেশি হারে সুদ দিতে পারবে না৷ এর ফলে সঞ্চয়কারীদের আরো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে৷ সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘প্রথমত সুদের হার বেঁধে দেয়াটা কোনোভাবেই যৌক্তিক না৷ বলতে পারতো স্প্রেড (আমানত ও ঋণের সুদ হারের ব্যবধান) কমাও৷ এর প্রভাব পড়বে আমাদের সঞ্চয়ের উপরে৷ এটা সামগ্রিকভাবে আমাদের বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে৷”

    তবে অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ জায়েদ বখত মনে করেন, ‘‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে (আমানতকারীর) রিয়েল ইনকাম কমবে না৷ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না থাকলে অবশ্যই তাদের প্রকৃত আয়টা তখন কমে যাবে৷”

    শেয়ার বাজারে আস্থার সংকট

    বিশ্বের অনেক দেশেই শেয়ার বাজার শক্তিশালী৷ সেখানে ব্যাংকে টাকা রাখার বদলে মানুষ আয়ের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করেন৷ কিন্তু বাংলাদেশে শেয়ার বাজার কখনোই শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড়ায়নি৷ তার উপর আছে কারসাজি করে দাম বাড়ানো কিংবা কমানোর অভিযোগ৷ এর ফলে শেয়ার বাজারে টাকা খাটিয়ে বরং পথে বসতে হয়েছে অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারীকে৷ সাম্প্রতিক সময়ে দেশের শেয়ার বাজারের পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়েছে৷

    এক বছর আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন ছিল প্রায় চার লাখ ১৪ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা৷ ১৮ ফেব্রুয়ারিতে এসে তা তিন লাখ ৫৬ হাজার ১৬০ কোটিতে দাঁড়িয়েছে৷ অর্থাৎ, এক বছরেই বাজার থেকে উধাও হয়েছে ৫৮ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা৷

    গত কয়েকদিনে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও এক বছরের ব্যবধানে সূচকের পতনটাও উল্লেখ করার মতো৷ গত বছর একই দিনে ডিএসইএক্স যেখানে পাঁচ হাজার ৭২৪ পয়েন্ট ছিল এখন তা নেমে এসেছে চার হাজার ৭৪০-এ৷

    সঞ্চয়পত্রে বাধা

    ব্যাংকের সুদ হারের সাথে বড় ধরনের তফাতে গত কয়েক বছরে সাধারণ মানুষের টাকা জমা রাখার নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হয়ে উঠেছিল সঞ্চয়পত্র৷ গত কয়েকটি অর্থবছরে এর বিক্রি সরকারের বাজেটে ধরা লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে যেতে থাকে৷ রাষ্ট্রের কোষাগার থেকে তাই বছর বছর সুদ পরিশোধের চাপও বাড়ে৷ এমন অবস্থায় সঞ্চয়পত্র বিক্রির রাশ টানার পদক্ষেপ নেয় সরকার৷ জুলাই থেকে সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে টিআইএন ও ব্যাংক হিসাব বাধ্যতামূলক করা, অনলাইনে আবেদনের পাশাপাশি উৎসে করের হার পাঁচ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়৷

    সরকারের এসব পদক্ষেপের প্রভাব পড়েছে সঞ্চয়পত্রের বিক্রিতে৷ চলতি অর্থবছরে যেখানে ২৭ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা ধরেছিল সরকার, সেখানে বছরের অর্ধেকে ৫ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা এসেছে এই খাত থেকে৷ অথচ গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেই বিক্রি হয়েছিল ৪৩ হাজার ৫৩৯ কোটি ২৯ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র৷

    এরপরও সম্প্রতি ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদ হার অর্ধেকে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ৷ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের আস্থার একটি জায়গা ছিল এই স্কিমটি৷ এখন তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন৷ অর্থনীতিবিদ জায়েদ বখত বলেন, ‘‘একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের উপরে ডিপোজিট রাখতে গেলে সেটার ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা যেতো৷ কিন্তু ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীরা, যারা যেসব জায়গায় ডাকঘর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে, তারা যদি এখানে সঞ্চয় করে থাকে, সেই ক্ষেত্রে এই ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীরা সুদের হার এক লাফে অর্ধেক করে ফেলার কারণে অবশ্যই বিপাকে পড়বেন৷”

    অন্যদিকে সালেহউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, সরকারের রাজস্ব আয় কম দেয়ার মাশুল গুনতে হচ্ছে গরিব মানুষকে৷ ‘‘যুক্তি দেয়া হচ্ছে, এর পেছনে সরকারের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে৷ কিন্তু এই টাকা তো সাধারণ মানুষের ট্যাক্স বা রাজস্ব আয় থেকেই যাচ্ছে৷ তাহলে আপনি দরিদ্র মানুষকে কেন এর জন্য শাস্তি দেবেন৷ রাজস্ব আয় কমে যাওয়ার দোষ তো আর তাদের না৷”

    তার মতে, সঞ্চয়পত্র অনেকে অপব্যবহার করেছে, সেটা হয়তো সংশোধন করা যেতো৷ কিন্তু তার মানে এই নয় যে, সুদের হার কমিয়ে দিতে হবে৷ এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের যে টাকা রাখার প্রবণতা আর নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের উপার্জনের বিষয়টি মোটেও বিবেচনায় নেয়া হয়নি৷

    সাধারণ মানুষ কোথায় টাকা রাখবেন?

    এমন অবস্থায় সাধারণ মানুষ আসলে কোথায় টাকা খাটাবেন সেটি বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিচ্ছে৷ সুদ যত কমই হোক এই মুহূর্তে ব্যাংকে টাকা রাখা ছাড়া মানুষের সামনে আর কোনো সুযোগ নেই বলে মনে করেন জায়েদ বখত৷ তিনি বলেন, ‘‘মানুষের হাতে আর কোনো অপশন নেই৷ মানুষ তো ঘরে টাকা ফেলে রাখবেন না৷ বিভিন্ন ব্যাংকিং সার্ভিসও নেয়ার বিষয় আছে৷ এটা যে খুব একটা বেশি সঞ্চয় ডাইভার্ট করবে তা মনে হয় না৷ কারণ, ডাইভার্ট করে সঞ্চয় তো অন্য জায়গায় নেয়ার সুযোগ নেই৷”

    তবে তার সঙ্গে একমত নন সালেহউদ্দিন আহমেদ৷ তিনি মনে করেন, ‘‘সাধারণ মানুষের এখন টাকা রাখার জায়গা কোথাও নেই৷” এ কারণে বাংলাদেশের মানুষের সঞ্চয়ের প্রবণতা কমবে৷ তারা ব্যাংকে টাকা রাখার উৎসাহ হারাবেন৷ বেছে নেবেন টাকা রাখার প্রথাগত পদ্ধতিগুলো, যা শেষ পর্যন্ত তৈরি করবে তারল্য সংকট, নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগে৷ সূত্র : ডয়চে ভেলে

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    অর্থনীতি-ব্যবসা কমে টাকা ব্যাংকে যাওয়ার, রাখলে শঙ্কা
    Related Posts
    Gold

    আজ দেশে কত দামে স্বর্ণ ও রুপা বিক্রি হচ্ছে – জেনে নিন সর্বশেষ আপডেট

    July 6, 2025
    ইঁদুরের ব্যবসা করে মাসে

    ইঁদুরের ব্যবসা করে মাসে তিন গুণ লাভ লাবনীর

    July 6, 2025
    food advisor

    খুব শিগগিরই চালের বাজার স্বাভাবিক হবে: খাদ্য উপদেষ্টা

    July 6, 2025
    সর্বশেষ খবর
    সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার ৫টি টিপস

    সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার ৫টি টিপস: আজীবন সুস্থ থাকুন!

    আপনার জন্য সেরা ছোট ব্যবসার আইডিয়া

    আপনার জন্য সেরা ছোট ব্যবসার আইডিয়া

    শীতকালে সুস্থ থাকার উপায়

    শীতকালে সুস্থ থাকার উপায়: জরুরী পরামর্শ

    Motorola Moto G84 5G

    Motorola Moto G84 5G বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    বাচ্চাদের নৈতিক শিক্ষা

    বাচ্চাদের নৈতিক শিক্ষা:জরুরি কেন জানেন?

    Honor 200 Pro

    Honor 200 Pro বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    কম খরচে প্রযুক্তি ব্যবহার

    কম খরচে প্রযুক্তি ব্যবহার: দৈনন্দিন জীবনে সাশ্রয়ী উপায়

    ইংরেজি শেখার সেরা মোবাইল অ্যাপস:সহজ শেখার গাইড

    শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা কেন জরুরি

    শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা কেন জরুরি? জানুন কারণগুলি

    প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁত সাদা করা

    প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁত সাদা করা: সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.