বর্তমান ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেট আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। তবে ইন্টারনেটের দাম অনেক সময় সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরেও চলে যায়। সম্প্রতি, বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কর্তৃক ঘোষিত একটি সুখবর ভোক্তাদের মুখে হাঁসির আভা নিয়ে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম এখন থেকে ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। এটি জনগণের জন্য একটি গূঢ় পরিবর্তন যে সহজলভ্য ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করবে।
Table of Contents
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমানোর প্রভাব
প্রথমত, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমানোর ফলে যারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাস করেন, তাদের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করা আরও সহজ হবে। আসিফ মাহমুদ উল্লেখ করেছেন যে, ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে প্রশস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিস্থাপন এবং ডিজিটাল সমন্বয় সম্ভব হয়। এটি যুবকদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং তাদের কর্মসংস্থান এবং শিক্ষা গ্রহণে সহায়তা করবে।
বর্তমানে দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ অনলাইনে কাজ ও শিক্ষা গ্রহণ করছেন। তাই সাশ্রয়ী ইন্টারনেটের ফলে জনগণের অগ্রগতিতে একটি গূঢ় প্রভাব পড়বে।
সরকারের পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যৎ প্রয়োজনীয়তা
সরকার যখন জনগণের কাছে পৌঁছানো সুবিধার কথা ভাবছে, তখন এই পদক্ষেপের ফলে দেশের ডিজিটাল দিকনির্দেশনা অনেক উন্নয়নশীল হবে। যদিও আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন যে, এই কমানোর পরিমাণ বর্তমানের সংস্কারের অংশ, তবে ভবিষ্যতে এই খাতের উপরে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য সরকারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
আসিফ মাহমুদ জানান, “রিজার্ভ হবে ২৭-৩০ বিলিয়ন ডলার।” বর্তমান সময়ে দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৫ হাজার ৪৪৪ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী, দেশের রিজার্ভ সাম্প্রতিক সময়ে ২০ হাজার ৭ দশমিক ৫৯ ইতালিয়ান ডলার।
ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা ও বৈষম্য কমানোর উদ্যোগ
এখন থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমানোর উদ্যোগটি জনগণের ডিজিটাল অধিকার বৃদ্ধির নিশ্চয়তা দেবে। এটি সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু ইন্টারনেট এখনকার সময়ের একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে অধিকাংশ মানুষই তা রূপায়িত করেছেন, এভাবে কর্তৃপক্ষ জনগণের মধ্যে অসাম্যতা কমানোর চেষ্টা করছেন।
দেশের ভবিষ্যৎ ও আন্তর্জাতিক প্রভাব
বিষয়টি এখানেই শেষ নয়। বিশ্ববাজারের প্রভাবও দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলছে। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বিশ্বজুড়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং বাংলাদেশও তার গুরুত্ব উপলব্ধি করছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে হলে সরকারের এই পদক্ষেপ অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
বর্তমান সময়ের এই উদ্বেগনাশক খবর বাংলাদেশের জনগণের জন্য উন্নয়নশীল পদক্ষেপ এবং একটি সাফল্যের সূচনা করে।
FAQs
১. ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমানোর পরিমাণ কত?
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২০% পর্যন্ত কমানো হয়েছে।
২. এই পদক্ষেপের লক্ষ্য কি?
সরকারের লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা বাড়ানো এবং ডিজিটাল মহাসড়কের উন্নয়ন সাধন করা।
৩. ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে কি সুবিধা হবে?
ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে যোগাযোগ, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি হবে।
৪. সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
সরকার আগামীতে আরও সংস্কার এবং উন্নয়নের উদ্যোগ নিতে প্রস্তাব করেছে, যার মধ্যে রিজার্ভ বৃদ্ধি করা অন্তর্ভুক্ত।
৫. ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবহার কতটুকু বেড়েছে?
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবিধান বেড়ে চলেছে, যা সম্প্রতি ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির সম্প্রসারণে সহায়তা করেছে।
৬. আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রভাব কি?
আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
Disclaimer: This article is intended for informational purposes only and should not be construed as professional advice. Content accuracy is checked to the best of our ability but is subject to change. Always verify directly with official sources.
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।