আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্রিটেনে গতকাল (বুধবার) একদিনে ১৬ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন যা দেশটির ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মন্ত্রীর পদত্যাগের ঘটনা। এদিক দিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে ব্রিটেন। আর এর মধ্যদিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকার ভয়াবহ চাপের মুখে পড়ল। খবর পার্সটুডে’র।
চ্যান্সেলর বা অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদের পদত্যাগের পর ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে। দুই মন্ত্রীকে অনুসরণ করে একদিনে ১৬ মন্ত্রী সরকার ছাড়ার পথ বেছে নেন। এর আগে ১৯৩২ সালের সেপ্টেম্বরে একদিনে ১১ মন্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম জানিয়েছে, মন্ত্রীদের পাশাপাশি কনজারভেটিভ দলের এমপিরাও পদত্যাগ করছেন। সব মিলিয়ে নজিরবিহীন সংকটে বরিস জনসনের সরকার।
শুধু মন্ত্রী বা এমপি নন, জনসনের আমলে বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য দূত এবং ব্যক্তিগত সচিবও পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া প্রকাশ্যে অনেক কনজারভেটিভ রাজনীতিকই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাদের অনাস্থার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু জনসন ক্ষমতা ছাড়তে চাইছেন না। এমনকি একজন মন্ত্রী বরিস জনসনকে পদত্যাগের পরামর্শ দেয়ায় তাকে বরখাস্ত করেছেন তিনি। তবে দেশটির চলমান টালমাটাল রাজনীতিতে বরিস জনসন সম্ভবত টিকে থাকতে পারবেন না। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই একে জনসনের জন্য ‘শেষখেলা’ বলে মনে করছেন।
জনসনের কনজারভেটিভ দলের এমপি ক্রিস্টোফার প্রিন্সারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে সে সম্পর্কে জনসন কিছুই জানতেন না বলে প্রথম দিকে দাবি করেন কিন্তু পরিস্থিতি বেগতিক দেখে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সম্প্রতি জানানো হয়েছে যে, এমপি প্রিন্সারকে চলতি বছরের প্রথম দিকে পার্লামেন্টের ডেপুটি হুইপ নিয়োগ দেয়ার আগেই তার অসংযত যৌনাচার সম্পর্কে বরিস জনসন জানতেন। এতেই তার সরকার ভূমিকম্পের মুখে পড়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।