Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home ব্রিটেনের রানির ৭৩ বছরের জীবনসঙ্গী ছিলেন প্রিন্স ফিলিপ
    আন্তর্জাতিক

    ব্রিটেনের রানির ৭৩ বছরের জীবনসঙ্গী ছিলেন প্রিন্স ফিলিপ

    Mohammad Al AminApril 9, 20219 Mins Read
    Advertisement

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ষাট বছরেরও বেশি সময় ব্রিটেনের রানির পার্শ্ব-সহচর ও একান্ত সমর্থক প্রিন্স ফিলিপ বা ডিউক অফ এডিনবারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশ রাজ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তিতে পরিণত হন। খবর বিবিসি বাংলার।

    রানির জীবন সঙ্গী হলেও ফিলিপের কোনও সাংবিধানিক দায়িত্ব ছিল না। কিন্তু রাজ পরিবারের এতো ঘনিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ তিনি ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। তিয়াত্তর বছর তিনি ছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী। রানির আদেশেই ব্রিটিশ রাজতন্ত্রে একসময় তিনি হয়ে ওঠেন দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।

    জীবন সঙ্গী হিসেবে রানিকে তার কাজে সহযোগিতা করলেও বিশেষ কিছু কাজের ব্যাপারে প্রিন্স ফিলিপের বিশেষ আগ্রহ ছিল। পরিবেশ ও তরুণদের জন্যে অনেক কাজ করেছেন তিনি। স্পষ্টভাষী হিসেবেও পরিচিতি ছিল প্রিন্স ফিলিপের।

    এই দীর্ঘ সময় ধরে রানি ও ব্রিটিশ রাজ পরিবারের প্রতি একনিষ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতার জন্যে তিনি যথেষ্ট শ্রদ্ধাও অর্জন করেন।

    রাজ পরিবারের নানা আনন্দ উৎসব আর কঠিন চ্যালেঞ্জের সময় তিনি সবসময় ছিলেন রানির পাশে। নিজের ভূমিকার কথা বলতে গিয়ে তিনি একবার বলেছিলেন, তার কাছে যেটা সবচেয়ে ভাল মনে হয়েছে তিনি সেই কাজটাই করেছেন।

    তিনি বলেন, কেউ কেউ মনে করেন ঠিক আছে, আবার কেউ ভাবেন ঠিক হয়নি- তো আপনি কি করতে পারেন! আমি যেভাবে কাজ করি সেটাতো আমি হঠাৎ করে বদলাতে পারি না। এটা আমার স্টাইলেরই একটা অংশ।

    জন্ম ও লেখাপড়া

    ডিউক অফ এডিনবারার জন্ম গ্রিসের রাজ পরিবারে ১৯২১ সালের ১০ই জুন। গ্র্রিসের কর্ফু দ্বীপ যেখানে তার জন্ম, সেখানে তার জন্ম-সনদে অবশ্য তারিখ নথিভুক্ত আছে ২৮শে মে ১৯২১। এর কারণ গ্রিস তখনও গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণ করেনি। তার পিতা ছিলেন গ্রিসের প্রিন্স অ্যান্ড্রু আর মা ব্যাটেনবার্গের প্রিন্সেস অ্যালিস।

    বাবা মায়ের সন্তানদের মধ্যে তিনিই ছিলেন একমাত্র ছেলে। খুবই আদরে কেটেছে তার শিশুকাল।

    তার জন্মের এক বছর পর ১৯২২ সালে এক অভ্যুত্থানের পর বিপ্লবী এক আদালতের রায়ে প্রিন্স ফিলিপের পিতার পরিবারকে গ্রিসের ওই দ্বীপ থেকে নির্বাসনে পাঠানো হয়।

    তার কাজিন রাজা পঞ্চম জর্জ তাদের উদ্ধার করে আনতে একটি ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ পাঠান, যে জাহাজে করে সেখান থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় ফ্রান্সে।

    ফ্রান্সে লেখাপড়া শুরু করার পর সাত বছর বয়সে তিনি ইংল্যান্ডে মাউন্টব্যাটেন পরিবারে তার আত্মীয়স্বজনদের কাছে চলে আসেন এবং এরপর তার স্কুল জীবন কাটে ইংল্যান্ডে।

    এসময় তার মা মানসিক রোগে আক্রান্ত হলে তাকে মানসিক রোগের হাসপাতালে রাখা হয় এবং তখন কিশোর ফিলিপকে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হতো না।

    এরপর প্রিন্স ফিলিপ তার লেখাপড়া শেষ করেন জার্মানি ও স্কটল্যান্ডে। স্কটিশ একটি বোর্ডিং স্কুল গর্ডনস্টোনে তিনি লেখাপড়া করেন।

    দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় তিনি সামরিক বাহিনীতে ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং চাকরি নেন রয়্যাল নেভিতে।

    এলিজাবেথের সাথে সাক্ষাৎ

    প্রিন্স ফিলিপ যখন ডার্টমাথে ব্রিটানিয়া রয়্যাল নেভাল কলেজের ক্যাডেট, তখন ওই কলেজ পরিদর্শন করেন রাজা ষষ্ঠ জর্জ এবং রানি এলিজাবেথ, সঙ্গে ছিলেন তাদের দুই কিশোরী কন্যা- প্রিন্সেস এলিজাবেথ ও প্রিন্সেস মার্গারেট।

    ওই সফরে দুই কিশোরী প্রিন্সেসের সাথী হয়ে তাদের সঙ্গ দেন প্রিন্স ফিলিপ। তরুণ প্রিন্স ওই সফরে ১৩ বছরের প্রিন্সেস এলিজাবেথের মনে গভীর ছাপ ফেলেছিলেন।

    সেটা ছিল ১৯৩৯ সাল। ১৯৪২ সালের অক্টোবরের মধ্যে প্রিন্স ফিলিপ হয়ে ওঠেন রয়্যাল নেভির তরুণতম ফার্স্ট লেফটেন্যান্ট।

    এই সময় তারা দু’জন প্রচুর চিঠি চালাচালি করেছেন। বেশ কয়েকবার রাজপরিবারের সঙ্গে থাকার আমন্ত্রণও পেয়েছেন তিনি।

    এরকমই একটি সফরের পর ১৯৪৩ সালের বড়দিনের সময় এলিজাবেথ তার প্রসাধনের টেবিলে প্রিন্সের একটি ছবি সাজিয়ে রাখেন।

    তাদের সম্পর্ক গভীর হয়ে ওঠে যুদ্ধ পরবর্তী দিনগুলোতে। কিন্তু তাদের এই সম্পর্কের বিরোধিতা করেছিলেন রাজপরিবারের কেউ কেউ। কারণ তারা মনে করতেন ফিলিপের আচরণ “রুক্ষ্ম ও খুব ভদ্রোচিত” নয়।

    কিন্তু প্রিন্সেস এলিজাবেথ বেশ ভালোভাবেই ফিলিপের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন। ১৯৪৬ এর গ্রীষ্মে ফিলিপ রাজার কাছে গিয়ে তার কন্যাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন এবং প্রথম সাক্ষাতের আট বছর পর তারা বিয়ে করেন।

    বিয়ের আগে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নিতে হয় ফিলিপকে। গ্রিক পদবী বাদ দিয়ে তিনি নেন মায়ের ইংরেজ পদবী মাউন্টব্যাটেন।

    বিয়ের অনুষ্ঠানের আগের দিন রাজা ষষ্ঠ জর্জ তাকে ‘হিজ রয়্যাল হাইনেস’ উপাধি দেন। আর বিয়ের দিন সকালে তাকে করা হয় ‘ডিউক অফ এডিনবারা।’

    ওয়েস্টমিনস্টার গির্জায় ১৯৪৭ সালের ২০শে নভেম্বর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সেই সময় উইনস্টন চার্চিল বলেছিলেন যুদ্ধ পরবর্তী ব্রিটেনের ধূসর দিনগুলিতে ওই বিয়ে ছিল রং-এর ঝলকানি।

    সংক্ষিপ্ত কেরিয়ার

    তাদের বিবাহিত জীবনের শুরুটা ছিল খুবই আনন্দঘন।

    এক সময় রয়্যাল নেভিতেও সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে তার কেরিয়ার, বিয়ের পর তার পোস্টিং হয় মাল্টায় কিন্তু এই জীবন খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি।

    তাদের প্রথম সন্তান প্রিন্স চার্লসের জন্ম হয় বাকিংহাম প্রাসাদে ১৯৪৮ সালে। তার দু’বছর পর ১৯৫০ সালে জন্ম হয় কন্যা প্রিন্সেস অ্যানের।

    ১৯৫০-এ নৌবাহিনীতে তরুণ ফিলিপ তার কেরিয়ারের তুঙ্গে। এসময় রাজা ষষ্ঠ জর্জের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকায় তার কন্যাকে আরও বেশি করে রাজার দায়িত্ব কাঁধে নিতে হয় এবং ফিলিপের তখন স্ত্রী এলিজাবেথের পাশে থাকা প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

    উনিশশ’ একান্নর জুলাই মাসে রয়াল নেভি ছেড়ে দেন প্রিন্স ফিলিপ। ক্ষোভ পুষে রাখার মানুষ ছিলেন না তিনি। তবে পরবর্তী জীবনে তাকে বলতে শোনা গিয়েছিল নেভিতে তার কেরিয়ার আরও এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ না পাওয়া তাকে দু:খ দিয়েছিল।

    উনিশশ’ বাহান্নয় রাজ দম্পতি কমনওয়েলথ সফরে যান। ওই সফরে প্রথমে যাওয়ার কথা ছিল রাজা এবং রানির।

    ওই সফরে ফেব্রুয়ারি মাসে তারা যখন কেনিয়ায় শিকারীদের একটি বাসস্থানে ছিলেন, তখন খবর আসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজা ষষ্ঠ জর্জ মারা গেছেন। মৃত্যুর খবর ফিলিপই পৌঁছে দেন এলিজাবেথের কাছে।

    প্রিন্স ফিলিপের একজন বন্ধু পরে বলেছিলেন, এই খবর শুনে ফিলিপের মনে হয়েছিল তার মাথায় অর্ধেক পৃথিবী ভেঙে পড়েছে।

    রানির অভিষেকের সময় রাজ পরিবার থেকে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয় যে রানির পর সব কিছুতেই সবার আগে থাকবে ফিলিপের স্থান, কিন্তু সংবিধানে তার কোনও স্থান থাকবে না।

    রাজ পরিবারকে আধুনিক করে তোলার এবং জাঁকজমক সঙ্কুচিত করার অনেক চিন্তাভাবনা ছিল ডিউকের, কিন্তু প্রাসাদের নিয়মনীতির রক্ষক যারা ছিলেন, তাদের অব্যাহত বিরোধিতায় তিনি ক্রমশ উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন।

    শুধু একটা কীট

    ডিউক এসময় সামাজিক জীবনে খুব সক্রিয় হয়ে ওঠেন। কিছু পুরুষ বন্ধুকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহে লন্ডনের কেন্দ্রে সোহো এলাকার রেস্তোঁরায় ঘন্টার পর ঘন্টা লাঞ্চ খাওয়া, রাতের বেলা ক্লাবে যাওয়া এসব তার জীবনের অঙ্গ হয়ে ওঠে। আকর্ষণীয় বন্ধুদের সঙ্গে তার ছবি দেখা যায় নানা জায়গায়।

    পরিবারের ভেতর তার কর্তৃত্ব বজায় থাকলেও ছেলেমেয়েরা বাপের পারিবারিক নাম ‘মাউন্টব্যাটেন’ ব্যবহার করতে পারবে না বলে রানির দেওয়া সিদ্ধান্ত একটা তিক্ত পরিবেশ তৈরি করে।

    আমি এদেশে একমাত্র বাপ যে তার ছেলেমেয়েকে নিজের পিতৃপরিচয়ে পরিচিত করাতে পারে না- এক বন্ধুর কাছে এই অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমি তো শুধু একটা ফালতু কীট!

    পিতা হিসাবে বেশ কড়া ছিলেন ডিউক। অনেকে মনে করতেন তিনি ছেলেমেয়েদের ব্যাপারে স্পর্শকাতর নন।

    প্রিন্স চার্লসের জীবনীকার জনাথান ডিম্বলবি লিখেছেন, তার অল্প বয়সে সবার সামনে বাবা তাকে এমনভাবে তিরস্কার করতেন যে তার চোখে জল এসে যেত।

    বাবা ও বড় ছেলের সম্পর্ক কোনও সময়ই সহজ ছিল না।

    চার্লসের জন্য বোর্ডিং স্কুলের কঠোর জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়ার যে নীতি তিনি নিয়েছিলেন তা বাবা ও ছেলের মধ্যে একটা টানাপোড়েন তৈরি করেছিল।

    তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ছেলে যখন ছোট তখন বাবা হয়ে তার মনের কথা বোঝার চেষ্টা তিনি করেননি।

    তরুণদের উন্নতি ও বিকাশের বিষয়ে তিনি বরাবর খুবই সচেতন ছিলেন। এই আগ্রহ থেকে ১৯৫৬ সালে তিনি ব্যাপকভাবে সফল একটি উদ্যোগ চালু করেন ডিউক অফ এডিনবারা অ্যাওয়ার্ড নামে।

    এই উদ্যোগে লাভবান হয়েছে বিশ্বব্যাপী ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী প্রায় ৬০ লক্ষ সক্ষম ও প্রতিবন্ধী তরুণ, যারা বাইরের নানা চ্যালেঞ্জিং কর্মকাণ্ডে তাদের শারিরীক ও মানসিক যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পেয়েছে।

    বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডিউক অফ এডিনবারা বলেছিলেন, তরুণরা যদি যে কোনও ক্ষেত্রে সাফল্য দেখানোর সুযোগ পায়, তাহলে সেই সাফল্যের অনুভূতি তারা অন্যদের মধ্যেও সঞ্চারিত করতে পারবে।

    সারা বিশ্বে প্রতিবন্ধীদের উৎসাহিত করতে অনেক কাজ করেছেন তিনি। ডিউক পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের মতো বিষয়ে খুবই উৎসাহী ছিলেন।

    কিন্তু ১৯৬১ সালে ভারত সফরের সময় একটি বাঘকে গুলি করতে তার সিদ্ধান্তের কারণে তাকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল।

    তবে পরে তিনি বন্য প্রাণী সংরক্ষক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হন এবং তার প্রভাব ও উদ্যোগ কাজে লাগিয়ে বন্য প্রাণী সংরক্ষণে বড়ধরনের ভূমিকা রাখেন।

    বিশ্বের অরণ্যাঞ্চল রক্ষার ব্যাপারেও তিনি আন্তরিক ছিলেন এবং এ ব্যাপারে এবং মহাসাগরে বেশি মাছ ধরার বিরুদ্ধে তিনি প্রচারণা চালিয়ে অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। শিল্পকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রেও তার একটা বড় অবদান ছিল।

    নানাধরনের খেলাধুলার প্রতি তার ছিল অদম্য উৎসাহ এবং নিজে অনেক ধরনের খেলার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন প্রিন্স ফিলিপ।

    স্পষ্টবক্তা ফিলিপ

    সোজাসাপ্টা কথা বলতে অভ্যস্ত ছিলেন প্রিন্স ফিলিপ- যা ভাবতেন তাই বলতেন, যা অনেকের জন্যে অনেকসময় শুধু মনোকষ্টের কারণই যে হতো তা নয়, তাকে অনেক সময় ফেলত সমালোচনার মুখে।

    তার সমালোচকদের অভিযোগ ছিল যে কোথায় কী বলতে হয় সে কৌশল তিনি জানেন না।

    রানীর সাথে ১৯৮৬ সালে চীন সফরের সময় তার এক মন্তব্য তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলো। চীনে ব্রিটিশ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন, তোমরা যদি এখানে খুব বেশি দিন ধরে থাকো তাহলে তোমাদের চোখও চীনাদের মতো ছোট ছোট হয়ে যাবে।

    চীনারা এই মন্তব্য নিয়ে তেমন সোরগোল না করলেও পত্রপত্রিকাগুলো এই খবর নিয়ে দারুণ হৈচৈ করেছিল।

    ২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে ডিউক অ্যাবোরোজিন আদিবাসী সম্প্রদায়ের এক ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তোমরা কি এখনও একে অপরকে তীর ছুঁড়ে মারো?

    অনেকে মনে করতেন তিনি কথাবার্তার সময় অসতর্ক, অবিবেচক, অনেকে আবার বলতেন তিনি রেখেঢেকে সাজিয়ে গুছিয়ে কথা বলেন না। ফলে তার সহজ সরল কথাবার্তা দিয়ে তিনি মানুষের আরও কাছে পৌঁছতে পারেন।

    পরিবারের শক্তি

    সাংবাদিক জনাথান ডিম্বলবির লেখা চার্লসের জীবনীগ্রন্থটি প্রকাশ পাবার পর তার বড় ছেলে প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে তার টানাপোড়েনের কথা প্রথম জনসমক্ষে আসে।

    বলা হয় ডিউক অফ এডিনবারাই প্রিন্স চার্লসকে লেডি ডায়ানা স্পেনসারকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন।

    কিন্তু সন্তানদের বিয়ে নিয়ে সমস্যার সময় আবার তিনিই সবচেয়ে বেশি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

    প্রিন্স ফিলিপ তাদের সমস্যার কথা বোঝার চেষ্টা করেছেন সম্ভবত রাজ পরিবারে বিয়ে করার নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে।

    তার চার সন্তানের মধ্যে তিনজনের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি তাকে পীড়া দিয়েছিল অনেক, কিন্তু এমনকী তার সন্তানদেরও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে তিনি অস্বীকার করেছেন সবসময়।

    তবে বলা হয়, ডায়ানার প্রতি রাজ পরিবারের ভেতর সবচেয়ে বেশি সমর্থন ছিল তার শ্বশুর ডিউক অফ এডিনবারার। ডায়ানার তাকে লেখা চিঠির উষ্ণ ভাষা ও “ডিয়ার পা” সম্বোধন থেকে সেটা স্পষ্ট বলে অনেক রাজ পরিবার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেছেন।

    পুত্রবধূ ডায়ানার প্রতি তার যে বৈরি মনোভাব ছিল না তা প্রমাণ করার চেষ্টায় ডিউককে লেখা প্রিন্সেস ডায়ানার চিঠিগুলো প্রকাশ করা হয়েছিল ২০০৭ সালে।

    শেষ জীবন

    ২০১১ সালের জুন মাসে, নব্বইতম জন্মদিনের সময় তিনি খুব খোলামেলাভাবেই তার বয়স বেড়ে যাওয়ার বাস্তবতার কথা স্বীকার করেছিলেন।

    বিবিসিকে তিনি বলেন যে, তিনি তার কাজের চাপ কমিয়ে আনছেন।

    “আমি মনে করি আমার কাজটা আমি করেছি। এখন নিজের জীবন কিছুটা উপভোগ করতে চাই। কম দায়দায়িত্ব, কম দৌড়াদৌড়ি, তারপর কী বলতে হবে সেটা নিয়েও কম ভাবতে হবে। তার ওপরে স্মৃতিশক্তি তো দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। অনেক কিছুই আমি মনে করতে পারি না। আমিতো অনেকটাই নিজেকে গুটিয়ে আনছি।”

    প্রিন্স ফিলিপের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো রাজ পরিবারকে ভেতরে ও বাইরে সমর্থন দিয়ে যাওয়া। বিশেষ করে বিপর্যয়ের সময়।

    ব্রিটিশ ইতিহাসে রাজ পরিবারে রাজা বা রানির জীবনসঙ্গীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় বেঁচে ছিলেন প্রিন্স ফিলিপ।

    ১৯৯৭ সালে বিয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেওয়া ভাষণে রানি এলিজাবেথ তার স্বামীর প্রশংসা করে বলেছিলেন, সব সময়েই তিনি আমার শক্তি। আমি এবং তার গোটা পরিবার তার কাছে, তিনি যতোটা দাবি করেন বা যতোটা জানেন, তার চেয়েও অনেক বেশি ঋণী।

    ব্রিটেনের জনজীবনেও তার বিশাল অবদান রয়েছে। ব্রিটেনের রাজতন্ত্রকে পরিবর্তনশীল সমাজের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ব্যাপারে অনেক বছর ধরেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন ডিউক অফ এডিনবারা।

    রানির দীর্ঘ শাসনকালে তিনি ছিলেন রানির পেছনে মস্তবড় একটা শক্তি। প্রিন্স ফিলিপ তার জীবনীকারকে বলেছিলেন, রানি যাতে শাসনকাজে সফল হন সেটা দেখাই তার প্রধান কাজ বলে তিনি সবসময় মনে করেছেন।

    প্রিন্স ফিলিপ শারীরিক অসুস্থতার কারণে লন্ডনের কিং এডওয়ার্ড হাসাপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১৬ই ফেব্রুয়ারি। পরে লন্ডনের সেন্ট বার্থলোমিউ হাসপাতালে তার পুরনো হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণে তার সফল অস্ত্রোপচারও হয়েছিল।

    প্রায় এক মাস চিকিৎসার পর তিনি উইন্ডসর কাসেলে ফিরে যান। সেখানেই আজ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    US immigration

    যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাকের ফ্ল্যাটবেড থেকে ১৩ অভিবাসী উদ্ধার

    July 7, 2025
    Italy Visa

    শ্রমিক সংকট কমাতে ৫ লাখ কর্ম ভিসা দিচ্ছে ইতালি

    July 7, 2025
    Uttarakhand CM farming

    হালচাষ করছেন ভারতের উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী

    July 6, 2025
    সর্বশেষ খবর
    আইফোন 14 প্লাস

    আইফোন 14 প্লাস: বিশাল স্ক্রিনের মজা, কিন্তু বাংলাদেশে দাম কত?

    হজ শেষে দেশে ফিরেছেন

    হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ৭৩ হাজার ৪৯৩ হাজি

    শেফালি

    ‘তুমি যতবার জন্মাবে, আমি তোমাকে ঠিক খুঁজে বার করব’

    বাংলার ইয়াজিদ

    শেখ হাসিনাকে ‘বাংলার ইয়াজিদ’ বললেন এনসিপি নেত্রী

    মির্জা ফখরুল

    নির্বাচনের মাধ্যমেই সঠিক পথে এগিয়ে যাবে দেশ: মির্জা ফখরুল

    বাইরের খাবার কম

    বাইরের খাবার কম খাওয়ার উপায়: সুস্থ থাকুন

    এসএসসির ফল প্রকাশের

    এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা

    সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার ৫টি টিপস

    সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার ৫টি টিপস: আজীবন সুস্থ থাকুন!

    আপনার জন্য সেরা ছোট ব্যবসার আইডিয়া

    আপনার জন্য সেরা ছোট ব্যবসার আইডিয়া

    শীতকালে সুস্থ থাকার উপায়

    শীতকালে সুস্থ থাকার উপায়: জরুরী পরামর্শ

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.