বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই চলচ্চিত্রের দাপুটে খল-অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। প্রযোজক হিসেবেও সমান সফল তিনি। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ধারাবাহিকভাবে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ডিপজলের পাঁচ সিনেমা।
ইতোমধ্যে এই সিনেমাগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং সেন্সর বোর্ডে পর্যায়ক্রমে জমা দেওয়া হবে। সিনেমা পাঁচটি হচ্ছে- ‘অমানুষ হলো মানুষ’, ‘যেমন জামাই তেমন বউ’, ‘বাংলার হারকিউলিস’, ‘ঘর ভাঙ্গা সংসার’ এবং ‘জিম্মি’। এই পাঁচটি সিনেমাই পরিচালনা করেছেন বহু সুপারহিট সিনেমার পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর।
ধারাবাহিকভাবে সিনেমা মুক্তি দেওয়া প্রসঙ্গে ডিপজল বলেন, ‘আমি আগে ঘোষণা দিয়েছিলাম প্রত্যেক মাসে একটি সিনেমা মুক্তি দেব। ১২ মাসে ১২টি। মাঝে করোনা ও লকডাউনের কারণে সিনেমা নির্মাণ ও মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি।পরিকল্পনায় ব্যাঘাত ঘটে। করোনা অনেকটা স্বাভাবিক হলে সিনেমাগুলো নির্মাণ কাজ শুরু করি। একটানা কাজ করে পাঁচটি সিনেমা তৈরি করেছি। এগুলো এখন প্রতি দেড় মাস পরপর মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আশা করছি, আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে সিনেমাগুলো মুক্তি দেওয়া শুরু করতে পারব।’
চলতি সপ্তাহে একটি সিনেমা সেন্সরে জমা দিয়ে মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রথমে ‘বাংলার হারকিউলিস’ মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর ‘ঘর ভাঙ্গা সংসার’। এভাবে পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোও সেন্সর করে মুক্তি দেওয়া হবে।
দর্শকদের হলমুখী করতে এই পরিকল্পনা উল্লেখ করে ডিপজল বলেন, সিনেমার বাজার সৃষ্টি করতে এখন ধারাবাহিকভাবে সিনেমা মুক্তি দিয়ে দর্শককে হলে আনা প্রয়োজন। পরপর যদি সিনেমা মুক্তি দেওয়া হয়, দর্শকের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হবে। সিনেমা যদি তাদের সামনে হাজির করা না হয়, তাহলে তারা দেখবে কীভাবে? তাদের সামনে তো দেখার মতো সিনেমা দিতে হবে। এই উপলব্ধি থেকে একের পর এক সিনেমা মুক্তি দিয়ে দর্শকের সামনে সিনেমা দেখার আগ্রহ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি বলেন, আমার চলচ্চিত্রের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে আমি জানি, আমাদের দর্শক কি ধরনের সিনেমা দেখতে পছন্দ করে। তাদের মনমতো গল্প এবং যে ধরনের সিনেমা দেখতে চায়, তা নিয়েই সিনেমাগুলো নির্মাণ করেছি। এখন সময় বদলেছে, দর্শকের মনমানসিকতাও বদলেছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে এবং আমাদের সিনেমার ঐতিহ্যকে ধারণ করেই সিনেমাগুলো নির্মাণ করেছি।
ডিপজল বলেন, সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের দেশে আমাদের সিনেমা দেখার দর্শক এখনও আছে। প্রয়োজন শুধু তাদের পছন্দের সিনেমা নির্মাণ করে উপহার দেওয়া। আমি সেই কাজটিই করেছি। শুধু এই পাঁচ সিনেমা মুক্তির মধ্যেই আমার কার্যক্রম থেমে থাকছে না। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে নতুন সিনেমা নির্মাণ শুরু করব। একদিকে সিনেমা মুক্তি দেব, আরেক দিকে নতুন সিনেমা নির্মাণ করব। আমি আমার অবস্থান থেকে চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাব। অন্যদেরও চলচ্চিত্র মুক্তির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে, আবার আমাদের চলচ্চিত্রে সুদিন ফিরে আসবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।