জুমবাংলা ডেস্ক: রেল লাইনের ওপর সারি সারি অবৈধ কাপড়ের দোকান। ট্রেন আসলেই দ্রুত সরিয়ে ফেলা হয় দোকানের তাবুগুলো। তবে বুধবার ভিন্ন লাইনে আসা ট্রেনের কারণে রক্ষা পায়নি বগুড়া রেলস্টেশনের পাশে অবস্থিত এ ‘হঠাৎ মার্কেট’। কিন্তু ভাগ্য ভালো যে আন্তনগর ট্রেন ‘দোলনচাঁপা’র চালকের তড়িৎ পদক্ষেপে ঘটেনি বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা। খবর ইউএনবি’র।
স্টেশন মাস্টার আবুল কাশেম জানান, দুপুর ১১টার দিকে আন্তনগর ট্রেন দোলনচাঁপা বোনারপাড়া থেকে এবং আরেক আন্তনগর ট্রেন লালমনি এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে বগুড়া স্টেশনে আসতে থাকে। সিগন্যাল এবং পয়েন্ট ঠিক করে দোলনচাঁপাকে দুই নম্বর লুপ লাইন এবং লালমনি এক্সপ্রেসকে এক নম্বর লাইনে আসার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু ‘হঠাৎ মার্কেট’র দোকানদাররা সাধারণত জানতেন যে দোলনচাঁপা এক নম্বর লাইন দিয়ে আসবে। তাই তারা দোকান সরাননি। পরে ট্রেন চলে আসতে দেখে দোকানদার এবং ক্রেতারা আতঙ্কিত হয়ে দৌড়ে নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে থাকেন। এ সময় ট্রেন চালক দ্রুততার সাথে ব্রেক করায় দোকানের মালামাল নষ্ট হলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।
এদিকে, বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়ন স্টেশন মাস্টার বজলুর রশিদ জানান, এ ঘটনায় আহত দুজনকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন- গাবতলী উপজেলার রুমি খাতুন (৩০) এবং দুপচাঁচিয়া উপজেলার মানিক (৫৫)। আরও কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বগুড়া রেলস্টেশন থেকে মাত্র ৩০ গজ দূরে গড়ে ওঠা এ অবৈধ বাজারে প্রায় তিন শতাধিক কাপড়ের দোকান রয়েছে। ‘হঠাৎ মার্কেট’ হিসেবে পরিচিত এ বাজার জেলায় পুরাতন কাপড় কেনার সবচেয়ে বড় জায়গা। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ বাজার। রেলওয়ের পক্ষ থেকে বছরে একবার এ বাজার উচ্ছেদ করা হলেও কয়েক দিন পর আবারও দোকান বসে যায়। গত কয়েক বছরে ট্রেন দুর্ঘটনায় এখানে ৭-৮ জন মারা গেছেন বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
স্টেশন মাস্টার আবুল কাশেম জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ১৯ নভেম্বর স্টেশনের পাশের এক বাজারে প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়ার সময় ‘হঠাৎ মার্কেট’ তিন দিন বন্ধ ছিল। পরে ২২ নভেম্বর আবারও দোকান বসে। এগুলো উচ্ছেদের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ২৩ নভেম্বর চিঠি দেয়া হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, সিগন্যাল এবং পয়েন্টের তারের ওপর অবৈধ দোকান বসার কারণে অনেক সময় সঠিকভাবে সিগন্যাল ও পয়েন্ট করা সম্ভব হয় না।
বগুড়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক কায়কোবাদ বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর আমরা সেখানে দ্রুত যাই। কিন্তু কোনো আহত কিংবা নিহত ব্যক্তির খোঁজ পাইনি। তবে আশপাশের লোকজন জানিয়েছেন, চার-পাঁচজন ক্রেতা আহত হয়েছেন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।