বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : মেমোরি কার্ড আবিষ্কারের পর মোবাইলসহ বিভিন্ন যন্ত্রে সেটি বসিয়ে তথ্য সংরক্ষণ করা হয়। সেই কার্ড বানরের মস্কিষ্কে স্থাপনের পর মানুষের মগজেও বসানোর ঘোষণা দিয়েছিল মার্কিন ধনকুবের এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান নিউরোটেক স্টার্টআপ নিউরালিংক। সম্প্রতি ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট ও ইউএসএ টুডের প্রতিবেদনে সেই তথ্য জানানো হয়েছিল।
তবে ১০ ফেব্রুয়ারি নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ওই পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা চালানো মোট ২৩টি বানরের মধ্যে অন্তত ১৫টি মারা গেছে। বানরের মস্তিষ্ক ছেদ করে চিপগুলো লাগানো হয়েছিল। এতে সংক্রমণ ও মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে বানরগুলো মারা যায়। ময়নাতদন্ত শেষে জানা গেছে, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে বানরগুলোর।
পশু অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ফিজিসিয়ানস কমিটি ফর রেসপন্সিবল মেডিসিন ৭০০ পাতার একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। এতে বলা হয়েছে, মস্তিষ্কে চিপ লাগানোর পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বানরগুলো।
এ বিষয়ে মার্কিন কৃষি বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেছে ওই সংগঠন। তাতে এলন মাস্ক ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
নিউরোলিঙ্ক প্রকল্প শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। তখন বলা হয়েছিল, ব্রেন ডেথ ও মেরুদণ্ডে সমস্যা থাকলেও মানুষ চলাফেরা করতে পারবেন। ডিভাইস চালানো ছাড়াও অবসাদ ও মানসিক রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম হবে মস্তিষ্ক।
প্রথম দিকে নিউরালিংক ঘোষণা করে, ইঁদুর ও বানরের ওপর গবেষণা চালিয়ে সফল হওয়া গেছে। ব্রেইন চিপটি স্থাপনের পর বানর মন দিয়ে ভিডিও গেমস খেলতে পারছে—এমন একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল।
বানরের মস্কিষ্কে চিপটি স্থাপনের পর মানুষের ওপর পরীক্ষা চালানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু তার আগেই বড় ধরনের বিপর্যয়ের খবর এলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।