স্পোর্টস ডেস্ক: অন্যের সাথে বিবাহিত অবস্থায় থেকে অর্থ্যাৎ অন্যের স্ত্রী থাকা অবস্থায় অবৈধ বিয়ে ও ব্যভিচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন, সৌদিয়া এয়ারলাইনসের বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মির বিচার শুরু হয়েছে। তবে এই মামলা থেকে তামিমার মা সুমি আক্তারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।।
আজ বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) আদালতের আদেশের মাধ্যমে তাদের বিচার কাজ শুরু হলো। আগামী ১০ মার্চ এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হবে বলে জানা গেছে।
সৌদিয়া এয়ারলাইনসের বিমানবালা তামিমা সুলতানাকে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ‘অবৈধভাবে’ বিয়ে করলে মামলাটি দায়ের করেছিলের তামিমার ব্যবসায়ী স্বামী রাকিব হাসান।
আজ আদালতে সংশ্লিষ্ট মামলা থেকে নাসির-তামিমা অব্যাহতি চাইলে আদালত সেটি নাকচ করে দেন। যার মধ্যে দিয়ে তাদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলো।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন বুধবার এ আদেশ দেন। এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান। তিনি বলেন, অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে নাসির ও তামিমার বিচার শুরু হলো।
অভিযোগ গঠনের সময় নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা। এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি শেষ হয়। আদালত আজ বুধবার অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ দেন।
এর আগে, গত ২৪ জানুয়ারি এই মামলার চার্জের বিষয়ে শুনানি হয়। ওই দিন ক্রিকেটার নাসিরসহ ৩ আসামির অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু। মামলার শুনানি শেষে আদালত ৯ ফেব্রুয়ারি চার্জের বিষয়ে আদেশের জন্য রেখেছিলেন।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর নাসির, তামিমা ও সুমির বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আদালত সেদিন পিবিআইয়ের প্রতিবেদন আমলে নেন।
অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ক্রিকেটার নাসিরের আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ আদালতকে বলেন, তামিমার সঙ্গে মামলার বাদী রাকিবের তালাক কার্যকর হয়েছে ২০১৭ সালের ২২ এপ্রিল। আর নাসির তামিমাকে বিয়ে করেন এর চার বছর পর। সুতরাং নাসিরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ টেকে না। আর তামিমা আইন মেনে রাকিবকে যথাযথভাবে তালাক দিয়েছেন, তালাক কার্যকর হয়েছে। তালাকের নোটিশ দেওয়ার দায়িত্ব কাজী অফিসের। তামিমার মায়ের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগও সঠিক নয়।
পরে ক্রিকেটার নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান। তিনি আদালতকে বলেছিলেন, আসামিপক্ষ থেকে ২০১৭ সালে রাকিব ও তামিমার মধ্যে তালাক কার্যকর করার কথা সঠিক নয়। তামিমা ২০১৮ সালের পাসপোর্টে স্বামীর নাম হিসেবে রাকিবের নাম উল্লেখ করেন। জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নিয়েছেন আসামিরা।
আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে অভিযোগ গঠনের বিষয় আদেশের জন্য নতুন দিন ঠিক করে দেন সেদিন।
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরার একটি রেস্তোরাঁয় নাসির ও তামিমার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এরপর নতুন করে বিতর্ক ওঠে এই ক্রিকেটারকে ঘিরে। তামিমা তার আগের স্বামীকে তালাক না দিয়ে নাসিরকে বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় মামলা করেন তামিমার আগের স্বামী রাকিব হাসান।
মামলায় আরও বলা হয়, তাম্মি ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার শিশুকন্যা মানসিক বিপর্যস্ত। আসামিদের এমন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে।
মামলাটি তদন্ত করে গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক শেখ মো. মিজানুর রহমান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।