বড় সুখবর পাচ্ছে ২ লাখ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে দেশের ২ লাখ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাইস্পিড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকটিভিটির আওতায় আসবে।

বৃহস্পতিবার সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ‌‘টেল মাই লিডার: গ্লোবাল চাইল্ড লিড ডিজিটাল হ্যাংআউট’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি। এসময় ৬ দেশের শিশুরা এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে গ্রাম পর্যন্ত ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল কানেকটিভিটি পৌঁছে গেছে। কোভিড-১৯ সময়ে শিক্ষাকার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীই অনলাইনে শিক্ষা নিচ্ছে। বাকি ৩০ শতাংশকেও দূরশিক্ষণের আওতায় আনতে ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাপ্রোচে কাজ করছে সরকার। এজন্য জাতীয় সংসদ টেলিভিশন চ্যানেল এবং রেডিওর পাশাপাশি ইন্টারনেট বা স্মার্টফোন না থাকলেও তাদের জন্য ৩৩৩ টোল ফ্রি নম্বরে কল করে শিক্ষকের পরামর্শ নেয়ার মতো উদ্ভাবনী সেবা চালু করা হয়েছে।

পলক বলেন, শিক্ষার্থীদের আইটি বিষয়ে দক্ষ করতে সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ‘ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাবস’ স্থাপন করছে।

তিনি আরো বলেন, ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে এখন ১১ কোটিই ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। তাই সুবিধাবঞ্চিত কিংবা অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে নিতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রতিভা তুলাধরের সঞ্চালনায় হ্যাংআউটে আরো বক্তব্য দেন উগান্ডার ফার্স্ট লেডি এবং শিক্ষা ও ক্রীড়া মন্ত্রী জ্যানেট কাতাহা মুসেভেনি, দক্ষিণ সুদানের জাতীয় সাধারণ শিক্ষা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মার্টিন টাকো মই, কম্বোডিয়ার শিক্ষা, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি জেনারেল চৌন রামি এবং নেপালের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব গোপীনাথ মৈনালি।