লাইফস্টাইল ডেস্ক : জীবনের চল্লিশটা বসন্ত অতিবাহিত হওয়ার পর অনেকেই ভাবেন যে এইবার বোধহয় রোগ ভোগের পালা শুরু হলো। ব্যাপারটা কিন্তু পুরোপুরি ঠিক নয়। বরং বলা যায় যে পুরোটা নির্ভর করছে আপনি শরীর সম্পর্কে কতটা সচেতন। এই নির্দিষ্ট বয়সের পর একবার ডাক্তারি পরীক্ষা এবং কিছু টেস্ট করা জরুরি।
বয়স বাড়বে তালমিলিয়ে শরীরে দেখা দেবে বেশকিছু সমস্যা। এটাই নিয়ম, এটাই স্বাভাবিক। তবে এখনকার জীবনযাত্রার নানা ভুলত্রুটির কারণে, বয়স হওয়ার আগে থেকেই মানুষের শরীরে বাসা বাঁধছে বহু রোগ। বিশেষত, পুরুষের বয়স ৪০ বছরের আশপাশে থাকলেই দেখা দিচ্ছে সমস্যা।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরুষ মানুষ যদি একটু সতর্ক হতে পারেন তবে সহজেই এই রোগগুলোকে প্রথমাবস্থায় চিহ্নিত করা যেতে পারে। আর প্রাথমিক অবস্থায় রোগ ধরা পড়লে চিকিৎসা হবে সহজ। ফলে চিকিৎসকদের পরামর্শ যত দ্রুত সম্ভব রোগ চিহ্নিত করতে হবে। তবেই লড়া যাবে অসুখের সঙ্গে। এবার কী সেই সমস্যাগুলো, আসুন জেনে নেওয়া যাক-
মাংসপেশি দুর্বল হওয়া : বিশ্বখ্যাত সংস্থা হার্বার্ড হেলথের বক্তব্য অনুযায়ী, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাংসপেশি দুর্বল হওয়া স্বাভাবিক। তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে এখন অনেক কম বয়সেই এ সমস্যা দেখা দিতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে বয়স ৩০-এর গণ্ডি পেরতে না পেরতেই শুরু হচ্ছে সমস্যা। হাত-পায়ের পেশিতে জোর না পাওয়া এক্ষেত্রে অন্যতম লক্ষণ। তাই এমন লক্ষণ দেখা দিলেই সতর্ক হন।
মুড সুইং : এখনকার জীবনযাপনে সারাদিন মানুষ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। অনিশ্চয়তাই এ সমস্যার পেছনে থাকা অন্যতম কারণ। সেক্ষেত্রে গবেষণা বলছে, ৪০ বছর বা তার আশপাশের বয়সের পুরুষ মানুষের মুড সুইং হতে পারে। সেক্ষেত্রে আসতে পারে ডিপ্রেশনও। নিজের প্রতি বিশ্বাস হারানো, মন মরা হয়ে থাকা, কোনোকিছু ভালো না লাগা, বিষণ্ণতা গ্রাস করলে বুঝতে হবে আপনার সমস্যা হচ্ছে। সেই সময় অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবেই মন থাকবে ভালো।
হাই ব্লাডপ্রেশার : হাই ব্লাডপ্রেশার রোগটি এখন ঘরে ঘরে। ৩০-এর কোঠা না পেরনো মানুষেরও এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর সব থেকে মুশকিল কি জানেন, এই রোগটির তেমন কোনও উপসর্গও দেখা যায় না। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতামত, আপনার কোনো সমস্যা থাকুক না থাকুক, বছরে একবার মাপতেই হবে ব্লাডপ্রেশার।
ডায়াবিটিস : এখন টাইপ ২ ডায়াবিটিস রোগটির বাড়বাড়ন্ত। সেক্ষেত্রে ৪০-এর আশপাশে বয়স থাকলে ডায়াবিটিস হতেই পারে। বারবার প্রস্রাব পাওয়া, অতিরিক্ত তৃষ্ণা, খুব খিদে, হঠাৎ রোগা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ। তবে অনেকসময় রোগ লক্ষণ দেখা না দিতেও পারে। সেক্ষেত্রে বছরে একবার সুগার টেস্ট করা উচিত।
প্রস্টেটের সমস্যা : পুরুষের মধ্যে বয়সকালে প্রস্টেটের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে খুব বেশি। বিশেষত প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেক্ষেত্রে তলেপেট ব্যথ, ইউরিনে রক্ত ইত্যাদি উপসর্দ দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।