জুমবাংলা ডেস্ক: প্রায় পাঁচ বছর পর একটি হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে ঝালকাঠি সিআইডি পুলিশ।
বুধবার (৫ অক্টোবর) রাতে সিআইডি ঝালকাঠি ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার মো. এহসানুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সহকারী পুলিশ সুপার এহসানুল হক জানান, ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাজাপুর বাইপাস মোড় থেকে মাদক সংক্রান্ত বিরোধের কারণে অপহরণ করা হয় স্থানীয় বাসকাউন্টার বয় আনসার আলীর ছেলে খাইরুলকে। খাইরুলকে অপহরণ করে খুন ও মরদেহ গুম করা হয়েছে, এ অভিযোগ এনে রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন খাইরুলের ভাই মো. সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। এ সময় আসামি করা হয় স্থানীয় সৈয়দ জেহাদুল ইসলাম, রিয়াদ, কাজল, পলি বেগম, রুস্তমসহ অজ্ঞাত ৫ থেকে ৬ জনকে।
এদিকে রাজাপুর থানা পুলিশ ফোরকান নামে একজনকে আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও তার কাছ থেকে কোন ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি। পরে সে আদালত থেকে জামিন পায়। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে মামলাটি ঝালকাঠি সিআইডিতে বদলী করা হয়। বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে একাধিক সোর্স নিয়োগ করেন। গত সোমবার সিআইডি পুলিশ রাজাপুর উপজেলার কানুদাসকাঠি গ্রাম থেকে মিজান হাওলাদার মিজু (৪৫) নামে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পূর্বকানুদাসকাঠি গ্রামের একটি কবরস্থানের বাঁশ ঝাড়ের নিচ থেকে খাইরুলের মরদেহের কঙ্কাল ও কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়।
আটক মিজান সিআইডিকে জানান, তার আপন দুই ভাই সোহাগ, মনির এবং ফোরকান ও গিয়াস এই চারজন মিলে খাইরুলকে খুন করে। প্রথমে মরদেহ ফোরকানের বাড়ির পেছনে মাটিতে পুঁতে রাখে। তবে দ্বিতীয়বার মরদেহ পুতে রাখার সময় মিজানুর রহমান মিজু ঘটনা দেখে ফেলে। মিজানুর রহমান মিজু নিজের বয়সের চেয়ে বড় একজন নারীকে বিয়ে করায় তার ভাইরা ও আত্মীয় স্বজন তাকে ভৎসনা করতো। সে কারণেই পাঁচ বছর পর সে সিআইডির কাছে খুনের ঘটনা ফাঁস করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন জানান, সিআইডির হেফাজতে থাকা মিজানুর রহমান মিজুকে বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) আদালতে সোপর্দ করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণ করা হবে এবং উদ্ধার করা কঙ্কাল ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পর যাদেরকে আসামি করা হয়েছিল, তাদের কারও নাম মিজানুর রহমান মিজান বলেনি। এ হত্যা কাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড বা পরিকল্পনাকারী ফোরকানকে আগে গ্রেপ্তার করা হলেও, বর্তমানে সে জামিনে থেকে পলাতক রয়েছে। মাদক সংক্রান্ত বিরোধের কারণে ফোরকানের পরিকল্পনায় খাইরুলকে খুন করা হয়। হত্যা ঘটনায় জড়িত গিয়াস উদ্দিন দুলাল এক বছর আগে মারা গেছেন।
প্রথমবারের মতো কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।