বিনোদন ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন হলিউড-বলিউডের পরে কোরিয়ান সিনেমা ও সিরিজ নিয়েই দর্শকের আগ্রহ বেশি লক্ষ করা যায়। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইফ্লিক্সের মার্কেটিং কমিউনিকেশন ম্যানেজার ওয়াসিফ খানও জানালেন একই রকম তথ্য, বাংলাদেশে তাঁদের সাইটে কোরিয়ান সিরিজের দর্শক বেশি। দেশের কয়েকটি টিভি চ্যানেলও কোরিয়ান সিরিজ প্রচার করেছে বাংলায় ডাবিং করে।
কোরিয়ান নাটকগুলোয় থাকে সুদর্শন নায়ক, সুন্দরী নায়িকা আর ভিন্ন ধারার গল্প। এই মিশেল দিয়েই কোরিয়ান প্রযোজনাগুলো দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বের নানা দেশে পৌঁছে যাচ্ছে। কে ড্রামা বা কোরিয়ান ড্রামার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় রোমান্টিক গল্প। ভালোবাসা শব্দটাকে কত রঙে সাজানো যেতে পারে, কত সুন্দর, স্পষ্ট, সাবলীল আর নিখুঁতভাবে উপস্থাপন করলে দর্শকের মনে আঁচড় কাটা যেতে পারে, সেটা কোরিয়ান ড্রামা/মুভি ইন্ডাস্ট্রি ভালোই জানে।
এই সময়ের সবচেয়ে আলোচিত কোরিয়ান সিরিজ ‘স্কুইড গেম’। তবে পুরোপুরি রোমান্টিক ড্রামা দেখতে চাইলে দেখতে পারেন ‘সামথিং ইন দ্য রেইন’। আবার কখনো ভয়ে কেঁপে ওঠে বুক, কখনো আবেগে আপ্লুত হয় মন, এক ঘটনার পর আর একটি ঘটনার অপেক্ষা। এভাবেই তৈরি হরর সিরিজ ‘কিংডম’ নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়ে বেশ সাড়া ফেলেছিল।
উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তিযুদ্ধ নিয়ে তৈরি ‘স্কাই ক্যাসেল’ ড্রামা সিরিজটি বাংলাদেশের দর্শকেরাও নিজেদের সঙ্গে মেলাতে পারবেন। শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্তানদের ভর্তি করাতে প্রতিযোগিতায় নামে চার ধনী পরিবার। উঠে আসে ভর্তিকেন্দ্রিক রাজনীতিও। দক্ষিণ কোরিয়ার কেব্ল টেলিভিশনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দেখা সিরিজের মধ্যে এটি দ্বিতীয়।
উত্তর কোরিয়ান এক সেনা কর্মকর্তা এবং এক দক্ষিণ কোরিয়ান ব্যবসায়ী নারীর প্রেমের গল্পে তৈরি হয়েছে ‘ক্রাশ ল্যান্ডিং অন ইউ’। ২০১৯ সালের প্রচার হওয়া সিরিজটিতে দুই দেশের বৈরী সম্পর্ক, অন্যদিকে দুজনের প্রেম—সিরিজটিকে টান টান উত্তেজনায় এগিয়ে নিয়ে গেছে।
কাজের চাপ এত বেশি যে ভালোবাসার সময়টুকু পর্যন্ত নেই, এমন দুজন মানুষের প্রেমে জড়িয়ে পড়ার গল্প নিয়ে সিরিজ ‘ইটস ওকে টু নট বি ওকে’। সিরিজটি ২০২০ সালে প্রচার শুরু হলে অল্প সময়েই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
সময়টা ঊনবিংশ শতাব্দীর। যখন স্মার্টফোন ছিল না, ছিল না সোশ্যাল মিডিয়া। ল্যান্ডফোন আর চিঠিই ছিল ভরসা। সেই সময়ের গল্প তুলে ধরেছে ‘রিপ্লে ১৯৮৮’ সিরিজটি।
এ ছাড়া দেখে নিতে পারেন ‘প্রিজন প্লেবুক’, ‘হোয়াটস রং উইথ সেক্রেটারি কিম’, ‘স্ট্রং উইমেন ডু বং সুন’, ‘স্ট্রেঞ্জার’ ‘ইটাওন ক্লাস’, ‘হাই বাই, মামা’, ‘সিগন্যাল’, ‘হিলার’, ‘বয়েজ ওভার ফ্লাওয়ারস’, ‘মুন লাভার্স’, ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জার’, ‘মুভ টু হেভেন’, ‘মাউস’, ‘ভিনচেঞ্জো’, ‘হ্যাপিনেস’, ‘দ্য রেড স্লেভ কাফ’, ‘মাই নেম’, ‘ডালিয়া অ্যান্ড কোকি প্রিন্স’, ‘ডিপি’।
সেরা সিরিজ : ‘স্কুইড গেম’ এখন সবচয়ে আলোচিত সিরিজ। তবে, প্রচার শুরুর পর থেকে এখনো জনপ্রিয়তার বিবেচনায় এগিয়ে আছে ‘মিস্টার সানশাইন’। ইতিহাসনির্ভর কোরীয় সিরিজটি এর আকর্ষণীয় চিত্রগ্রহণ ও দৃশ্যায়নের জন্যও প্রশংসিত হয়েছে। ২০১৮ সালে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায় ২৪ পর্বের ড্রামা সিরিজটি।
‘গার্ডিয়ান: দ্য লোনলি অ্যান্ড গ্রেট গড’ নাটকটি কোরিয়ার সর্বোচ্চ আয় করা নাটকের তালিকার ৩ নম্বরে আছে। ২০১৬ সালে প্রথমে কোরিয়ান টেলিভিশন নেটওয়ার্ক টিভিএনে সম্প্রচার হয়, পরে নেটফ্লিক্সে ওঠে। নাটকে দেখানো কোরীয় স্থানগুলো হয়ে ওঠে পর্যটনকেন্দ্র। সিরিজটিকে অনেকে ‘গবলিন’ নামেও চেনেন। ‘স্ট্রং উইমেন ডু বং সুন’ সিরিজটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে ওঠে গল্পের কারণে। এতে দেখা যায়, ছোটখাটো একটা মেয়ের ভেতর অতিমানবীয় শক্তি ভর করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।