সাইন্স ফিকশন ফিল্ম আমাদের ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ভবিষ্যতের দুনিয়ায় পরিধানযোগ্য প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে বিকশিত হবে এবং সব জায়গায় ব্যবহৃত হবে। উদাহরণ হিসেবে আমাদের মস্তিষ্কের সাথে সংযুক্ত চিপসেটের কথা বলা যেতে পারে। তাছাড়া আমাদের কানের পর্দায় পরিধানযোগ্য ডিভাইস থাকবে যার মাধ্যমে যোগাযোগ করা সম্ভব হবে।
আমাদের হাতের তালুতে ফোন লুকিয়ে থাকবে এরকম প্রযুক্তি ভবিষ্যতে দেখা যেতে পারে। বর্তমানে পরিধানযোগ্য প্রযুক্তি অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্মার্টফোন এবং স্মার্টওয়াচের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
বর্তমানে এসব প্রযুক্তি নির্ভর কোম্পানি নতুন উদ্ভাবনের উপর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রাক্তন অ্যাপল ডিজাইনার সাম্প্রতিক সময়ে Humane নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছে।
সাইন্স ফিকশন সিনেমায় যোগাযোগ রক্ষা করার ক্ষেত্রে যেসব অত্যাধুনিক পরিধানযোগ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। প্রজেক্টেড স্ক্রিন সহ টেকনোলজি নিয়ে কাজ করছে কোম্পানিটি।
এ সকল ডিভাইসে বিল্ট-ইন প্রজেক্টেড স্ক্রিনের ফিচার দেওয়া থাকবে। অ্যাপল তাদের শীর্ষস্থানীয় পণ্য বিকাশের ক্ষেত্রে মেধাবী এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়োগ করে থাকে।
ফলে তারা কোম্পানি ছেড়ে যাওয়ার পরেও বিভিন্ন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার পর বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে ইমরান চৌধুরীর কথা বলা যেতে পারে। তিনি Humane কোম্পানিতে পরিধানযোগ্য প্রযুক্তি নিয়ে অসাধারণ কাজ করেছেন।
TED 2023 সম্মেলনে চৌধুরী এ সকল পরিধানযোগ্য প্রযুক্তি প্রদর্শন করেছিলেন। তার দেখানো ডিভাইসটি পোশাকের অংশ হিসেবে প্রদর্শিত হয়েছে। তবে ক্যামেরা এবং স্পিকার এর মতো উপাদান সেখানে উন্মুক্ত ছিল।
ইমরান চৌধুরী বলেন যে, পরবর্তী সময়ে আপনার স্মার্টফোনের প্রয়োজন ফুরিয়ে আসতে পারে। ডিভাইসটিতে প্রজেকশনের মত বৈশিষ্ট্য থাকবে। AMOLED স্ক্রিনের পরিবর্তে এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারকারীরা ফিউচারে পছন্দ করবে কিনা তা ভেবে দেখার বিষয়।
এ সকলের ডিভাইসে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। যখন আপনি ভিন্ন শহরে ঘুরতে যাবেন সেখানে ভাষা সহ যোগাযোগের করার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। এ সকল পরিধানযোগ্য প্রযুক্তি ট্যুর গাইড হিসেবে আপনাকে সহযোগিতা করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।