জুমবাংলা ডেস্ক: ভরদুপুরে রাজধানী ঢাকায় কালবোশেখীর মতো রাতের আঁধার নেমে এসেছে। আজ সকাল থেকে সূর্যের আলো দেখেনি রাজধানীবাসী। বইছে ঝড়ো বাতাস। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় গুঁড়ি-গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।
উত্তরের বিভিন্ন জেলায় রাত থেকে টানা বৃষ্টির কারণে সেখানকার জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
শুক্রবার ভোর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়, থেমে-থেমে মেঘের গর্জন বর্ষার আমেজ নিয়ে আসে প্রকৃতিতে। টানা বৃষ্টির কারণে বেড়েছে শীতের প্রকোপ।
নীলফামারীতে রাত থেকে গুঁড়ি-গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও সকালে মুসলধারে বৃষ্টি হয়েছে। এতে শীতের প্রচন্ডতা বেড়ে যাওয়ায় জরুরি কাজ ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হননি। ভরদুপুরে সেখানে বিরাজ করছে রাতের আধার।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানিয়েছেন, সকাল ৯ টায় জেলায় ১১ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া একই সময়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়েও বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃষ্টির কারণে জনজীবনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। কাজে যোগ দিতে পারেননি খেটে খাওয়া মানুষ। বিশেষ করে কৃষি শ্রমিক আর রিকশা- ভ্যানচালকদের দুর্ভোগ বেশি দেখা গেছে। শহরের সড়ক, মহাসড়কেও মানুষের চলাচল কমে গেছে।
বৃষ্টি হচ্ছে রংপুর বিভাগের অন্য জেলাতেও। সেখানেও জনজীবনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। কনকনে শীতের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে শুক্রবার ভোর থেকেই চলছে লাগাতার বৃষ্টি। ছুটির দিনেও কাজের সন্ধানে বের হওয়া খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন দুর্ভোগে। শুক্রবার সকাল ১১টা পর্যন্ত ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে রাজশাহী আবহাওয়া অফিস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।