জুমবাংলা ডেস্ক: দেশের ভরাট হয়ে যাওয়া সরকারি জলমহাল পুনঃখনন ও সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
তিনি আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি জলমহাল ইজারা প্রদান সংক্রান্ত কমিটির ৬৮তম সভায় এই নির্দেশ প্রদান করেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সায়রাত মহাল শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ। ইজারার জন্য প্রস্তাবকৃত জলমহাল সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকবৃন্দ সভায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ভরাট হয়ে যাওয়া সরকারি জলমহাল পুনঃখনন ও সংস্কার করা গেলে দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি ও পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
তিনি বলেন, মৎস্য আহরণ বাড়াতে পারলে দেশের খাদ্য চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে।
সভায় প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৬ বছরের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলার ২০ একরের ঊর্ধ্বে ১৩৭টি সরকারি জলমহালের ইজারা প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উত্থাপন হয়।
প্রচলিত পদ্ধতিতে জলমহাল ইজারার আবেদনে অনেক সময় জলমহাল ইজারা প্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীদের নানা অপকৌশলের কারণে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হত।
অনলাইনে জলমহালের আবেদন প্রক্রিয়া চালুর পর জলমহাল সংশ্লিষ্ট অংশীজন থেকে কোনো ধরণের অভিযোগ আসেনি।
দেশে ছোট-বড় মিলিয়ে জলমহালের সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার। এ সকল জলমহাল ইজারা দিয়ে বছরে প্রায় শতকোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়।
বেশ কয়েকটি জলমহাল ঐতিহ্যবাহী ও দর্শনীয় স্থান হিসেবে ইজারাবিহীন রাখা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো দিনাজপুরের রামসাগর ও সিরাজগঞ্জের হুরাসাগর।
মাছ সংগ্রহের অভয়াশ্রম ঘোষিত জলমহালের মধ্যে অন্যতম হলো সুনামগঞ্জের টাংগুয়ার হাওর ও মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওর। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।