Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home ভাই এবং বোনের হত্যাকাণ্ডের ভয়ঙ্কর ঘটনা
    অন্যরকম খবর

    ভাই এবং বোনের হত্যাকাণ্ডের ভয়ঙ্কর ঘটনা

    March 25, 20235 Mins Read

    জুমবাংলা ডেস্ক: ১৯৭৮ সালের ২৬ অগস্ট, দিনটি ছিল শনিবার। সপ্তাহান্তের সন্ধ্যায় সে দিন ভারতের রাজধানীতে বৃষ্টি নেমেছিল। বৃষ্টি মাথায় করেই অল ইন্ডিয়া রেডিওর ‘যুব বাণী’ কেন্দ্রে শো করতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ভাই-বোন। আর তারপরে ঘটে গেল এক ভয়ঙ্কর ঘটনা। প্রথমে অপহরণ, আর তারপর খুন। নয়াদিল্লিতে ভাই এবং বোনের হত্যাকাণ্ড সেই সময় নাড়িয়ে দিয়েছিল।

    রঙ্গা বিল্লা

    ভাইয়ের নাম সঞ্জয় চোপড়া। আর তার বোনের নাম গীতা চোপড়া। সেই সময় নয়াদিল্লির জেসাস অ্যান্ড মেরি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল ১৬ বছরের গীতা। আর তার ১৪ বছরের ভাই সঞ্জয় ছিল মডার্ন স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র।

    গীতা এবং সঞ্জয়কে অপহরণ করে খুন করা হয়েছিল। যারা এই কাজ করেছিলেন, তাদের এক জনের নাম রঙ্গা ওরফে কুলজিৎ সিংহ এবং অপর জনের নাম বিল্লা ওরফে জসবীর সিংহ। এই হত্যাকাণ্ড গীতা এবং সঞ্জয়ের অপহরণের ঘটনা বা রঙ্গা-বিল্লা কাণ্ড নামেও পরিচিত। ঠিক কী ঘটেছিল সে দিন?

    সঞ্জয় এবং গীতার বাবা মদনমোহন চোপড়া সে সময় ভারতীয় নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন ছিলেন। সেই সূত্রে দিল্লির ধৌলা কুয়ান এলাকায় নৌবাহিনীর আধিকারিকদের সরকারি বাসভবনে পরিবার নিয়ে থাকতেন মদনমোহন। ১৯৭৮ সালের ২৬ অগস্ট রেডিওতে অনুষ্ঠান করতে যাওয়ার জন্য ভাইকে নিয়ে বেরিয়েছিল গীতা। কথা ছিল অনুষ্ঠান শেষের পর রাত ৯টা নাগাদ তাদের আনতে যাবেন গীতার বাবা।

    সেদিন সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিট নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোয় গীতা এবং সঞ্জয়। বাড়ি থেকে বেরোনোর পর রেডিও স্টেশনে যাওয়ার পথেই অঘটন ঘটে যায়। গীতা এবং সঞ্জয়কে অপহরণ করা হয়। পথে ভগবান দাস নামে এক ব্যক্তি একটি সরষে হলুদ রঙের গাড়ি দেখতে পান। গাড়ির ভেতর থেকে এক নাবালক এবং নাবালিকার চিৎকার শুনতে পান। সঙ্গে সঙ্গে নিজের স্কুটার থেকে নেমে গাড়িটির কাছে যান তিনি।

    গাড়ির কাছে গিয়ে ভগবান দেখেন যে, এক নাবালিকা চালকের চুল ধরে টানাটানি করছে। গাড়ির অন্য এক আরোহীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছে এক নাবালক। সেই গাড়িতে ঐ নাবালিকাই ছিল গীতা এবং নাবালক ছিল সঞ্জয়। কিন্তু তাদের উদ্ধার করতে পারেননি ভগবান নামে ঐ ব্যক্তি। ঐ গাড়িটি দেখে থামানোর চেষ্টা করেন আরো কয়েক জন। কিন্তু সবাই ব্যর্থ হন। পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু লাভ হয়নি। অভিযোগ ওঠে, প্রথমে নাকি তেমন তৎপরতা দেখায়নি পুলিশ। গতি বাড়িয়ে গীতা-সঞ্জয়কে নিয়ে গাড়িতে করে পালান অপহরণকারীরা। অর্থাৎ রঙ্গা এবং বিল্লা।

    সেদিন রাত ১০টা ১৫ মিনিটে উইলিংডন হাসপাতালে যান অপহরণকারীরা। বিল্লার মাথায় চোট ছিল। চিকিৎসকদের তারা জানান যে, কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী তাদের উপর হামলা চালিয়েছিল। সেই কারণেই আহত হন তারা। জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশও। যেখানে দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন রঙ্গা এবং বিল্লা, সেখানে তাদের নিয়ে যায় পুলিশের একটি দল। কিন্তু সেই জায়গায় হামলার কোনো চিহ্ন দেখতে পাননি পুলিশকর্মীরা।

    এরপর দুই অপহরণকারীকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তখন রাত দেড়টা। পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরের দিন সকালে তাদের থানায় যেতে বলা হয়। কিন্তু আর থানায় যাননি তারা। এরপরেই তাদের দেওয়া ঠিকানায় হানা দেয় পুলিশ। তদন্তকারীরা দেখেন যে, ঠিকানাটি ভুয়া। অর্থাৎ, পুলিশকে বোকা বানিয়ে ততক্ষণে কেটে পড়েছেন দুই অপহরণকারী।

    দুই অপহরণকারী যখন পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন, ততক্ষণে গীতা এবং সঞ্জয়কে না পেয়ে থানায় ছুটেছেন তাদের বাবা, মা। শনিবার রাত ৮টায় ছেলেমেয়ের অনুষ্ঠান শুনবেন বলে রেডিও চালিয়েছিলেন গীতার বাবা। কিন্তু ঐ সময় অন্য এক নাবালিকার অনুষ্ঠান হচ্ছিল। প্রথমে ভাবলেন যে, ভুল রেডিও চ্যানেল চালিয়েছেন। এরপরেই পৌনে ৯টা নাগাদ স্কুটার নিয়ে রেডিও অফিসে যান গীতার বাবা। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন যে, গীতা এবং সঞ্জয় রেডিও স্টেশনে যাননি।

    গীতা এবং সঞ্জয়ের খোঁজ শুরু করেন তাদের বাবা, মা। যোগাযোগ করা হয় আত্মীয়দের বাড়িতে। কিন্তু কোথাও তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। রাত ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ পুলিশকে বিষয়টি জানান গীতার বাবা। এরপরেই তদন্তে নামে পুলিশ। এই ঘটনার ২ দিন পর অর্থাৎ, ২৮ অগস্ট সন্ধ্যা ৬টায় দিল্লি সংলগ্ন একটি জঙ্গল থেকে গীতা এবং সঞ্জয়ের লাশ উদ্ধার করেন এক গোপালক। খবর দেন পুলিশে। তার পরই ঘটনাস্থলে গিয়ে গীতা এবং সঞ্জয়ের দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহ চিহ্নিতকরণের জন্য ডাকা হয় গীতার বাবা এবং মাকে। তারা মৃতদেহ শনাক্ত করেন। এই ঘটনা সেই সময় রাজধানীতে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল।

    কয়েক সপ্তাহ বাদে গ্রেফতার করা হয় দুই অপহরণকারী রঙ্গা এবং বিল্লাকে। ৮ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের। কালকা মেলে করে যাচ্ছিলেন ঐ দুই অপহরণকারী। আগরার কাছে যমুনা সেতুতে ট্রেনটি যখন গতি কমিয়েছিল, সেই সময়ই তাতে উঠে পড়েন রঙ্গা এবং বিল্লা। যে কামরায় তারা ওঠেন, সেটি সেনা জওয়ানদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। রঙ্গা এবং বিল্লাকে পরিচয়পত্র দেখাতে বলেন জওয়ানরা। এই নিয়ে জওয়ানদের সঙ্গে তাদের বচসাও বাধে। সেই সময় ল্যান্সনায়েক এ ভি শেঠি রঙ্গা এবং বিল্লার ছবি সংবাদপত্রে দেখে তাদের চিনতে পেরে যান। পরে তারাই দুই অপহরণকারীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে, মুক্তিপণের জন্যই সঞ্জয় এবং গীতাকে অপহরণ করেছিলেন রঙ্গা এবং বিল্লা। কিন্তু অপহরণের পর তাদের মনে হয় যে, সঞ্জয় এবং গীতার পরিবারের সম্পদ তেমন নেই। প্রথমে রঙ্গা এবং বিল্লা বয়ানে জানিয়েছিলেন যে, খুনের আগে তারা গীতাকে ধর্ষণ করেছেন। পরে অবশ্য এই বক্তব্য প্রত্যাহার করেন তারা। ফরেন্সিক তদন্তেও ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

    এরপর শুরু হয় বিচারপর্ব। রঙ্গা এবং বিল্লাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় দিল্লির আদালত। যাকে চ্যালেঞ্জ করে অভিযুক্তরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে সর্বোচ্চ আদালত। এর পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তারা। ১৯৮১ সালের ২১ এপ্রিল তাদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রাখে শীর্ষ আদালত।

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রঙ্গা এবং বিল্লার সাক্ষাৎকার নেয়ার সুযোগ পান কয়েক জন সাংবাদিক। শীর্ষ আদালত বলেছিল যে, যদি দোষীরা চান, তা হলে তারা সাক্ষাৎকার দিতে পারেন। ১৯৮২ সালের ৩০ জানুয়ারি বিল্লার সাক্ষাৎকার নেন ৫ সাংবাদিক। তবে সাক্ষাৎকার দিতে চাননি রঙ্গা। ১৯৮২ সালের ৩১ জানুয়ারি তাদের ফাঁসি হয়। এর আগে, ১৯৭৮ সালে ১৬ বছরের কম বয়সিদের জন্য সাহসিকতার স্বীকৃতি হিসাবে দুইটি পুরস্কার ঘোষণা করেছিল ‘দ্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর চাইল্ড ওয়েলফেয়ার’। ঐ দুই পুরস্কারের নাম ‘সঞ্জয় চোপড়া পুরস্কার’ এবং ‘গীতা চোপড়া পুরস্কার’।

    সূত্র: আনন্দবাজার

    এই নারী কারাগারে স-’হ-’বা’-সের সুযোগ চাইলেন

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    অন্যরকম এবং খবর ঘটনা বোনের ভয়ঙ্কর ভাই হত্যাকাণ্ডের
    Related Posts
    কর্মঘণ্টা

    বার্ষিক বেতন ৩০ কোটি, কর্মঘণ্টা প্রায় নগণ্য, তবুও কেউ করতে রাজি নয়

    May 26, 2025
    অপটিক্যাল ইলুউশন

    ছবিটি জুম করে দেখুন, বলতে পারবেন কে দাঁড়িয়ে আছে এবং কে বসে?

    May 22, 2025
    Sap

    খাবার না পেয়ে নিজের লেজই কামড়ে খাচ্ছে এই সাপ, ভাইরাল ভিডিও

    May 22, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Motorola Razr 60

    Motorola Razr 60: বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    আজকের আবহাওয়া

    ঈদের দ্বিতীয় দিন আজ, কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া

    OnePlus Flip

    OnePlus Flip: বাংলাদেশের ফোন প্রেমীদের জন্য দুর্দান্ত একটি বিকল্প

    হানিমুনে গিয়ে বর খুন

    হানিমুনে গিয়ে বর খুন, নিখোঁজ নববধূকে উদ্ধারে নেমেছে ড্রোন

    নামাজের সময়সূচি ২০২৫

    নামাজের সময়সূচি : ৮ জুন, ২০২৫

    আজকের টাকার রেট

    আজকের টাকার রেট : ৮ জুন, ২০২৫

    ২২ ক্যারেট সোনার দাম

    ২২ ক্যারেট সোনার দাম : আজকে বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম কত?

    খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন দলের শীর্ষ নেতারা

    বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়

    BGB

    চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে কঠোর অবস্থানে বিজিবি

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.