জুমবাংলা ডেস্ক : এক সময় গরু-ছাগলের বিচরণ ভূমি ছিল তিস্তা নদীর চর। তিস্তার মাছই ছিল চরের বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা। মাছ ছাড়া জীবিকার তেমন কোনো পথ ছিল না তাদের। মাছ ধরার পাশাপাশি কেউ কেউ ধান আবাদ করে সংসারের চাহিদা মেটাত। এখন সেই চরের জমি আর পতিত নেই। পাল্টে গেছে চরের দৃশ্যপট।
তিস্তা নদীর চরজুড়ে যে দিকে চোখ যাবে সে দিকে শুধু সবুজের সমারোহ। মাইলের পর মাইল জুড়ে পলিমিশ্রিত বালু মাটিতে সব ধরনের ফসল ফলানো যায়। অন্য ফসলের আশানুরূপ ফলন না পেলেও ভুট্টার ফলন হচ্ছে বাম্পার। তিস্তার বালুচরে ভুট্টা চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন হচ্ছে কৃষকদর। তাই চরের চাষিরা ঝুঁকেছেন ভুট্টা চাষে।
ডিমলা উপজেলার পূর্ব খড়িবাড়ী গ্রামের কৃষক হুকুম আলী বলেন, প্রতি শতক জমি থেকে প্রায় ৫০-৫৫ কেজি ভুট্টা পাওয়া যাবে। প্রতি মণ ভুট্টা ৭২০-৮০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। গত ১০ বছর ধরে তিস্তার চরে ভুট্টা চাষ করছি। প্রথমে তেমন ফলন না পেলেও বিগত ২/৩ বছর যাবত ভালো ফলন পাচ্ছি। ব্যবসায়ীরা সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে ভুট্টা কিনে নিয়ে যায়।
ডিমলা উপজেলার চর খড়িবাড়ী গ্রামের কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন, এ বছর ১০বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করেছি। আশা করছি ভালো ফলন ও দাম পাবো। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ভুট্টার চাষ শুরু হয়। আর ফসল ঘরে তোলা হয় এপ্রিলের মাঝামাঝি। ভুট্টা চাষে তেমন খরচ না থাকলেও রয়েছে আশানুরূপ লাভ। এখন ভুট্টা চাষে কৃষকেরা মনোযোগী হচ্ছেন। আমরা ভুট্টা চাষে আশানুরূপ ফলন পেয়ে লাভবান হব বলে আশা করছি। শুধু ভুট্টা চাষ করেই চরের কৃষকরা টিকে আছেন।
ডিমলা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী বলেন, এ বছর ১৩ হাজার ৪শত ৫৮ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। আমরা কৃষি অফিস থেকে চাষিদের ভুট্টা চাষে পরামর্শ ও পরিচর্যার দিকনির্দেশনা দিচ্ছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।