
জুমবাংলা ডেস্ক : জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম বিকৃতির কারণে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বন্ধ হয় আমাসু বর্মণের। অভাবের সংসার, শরীরও চলে না; এই চিন্তায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন তিনি। একপর্যায়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। নিরুপায় স্ত্রী বনমালা রানী।
স্বামীর অসহায়ত্ব দেখে ক্ষেতে-খামারে কাজ করে দু’মুঠো খাবার জোগাড় করলেও চিকিৎসা খরচ চালাতে পারেননি তিনি। দীর্ঘ রোগ ভোগের পর অবশেষে বুধবার বিকালে আমাসু বর্মণ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
কান্নাজরিত কণ্ঠে মেয়ে কাজলী রানী বলেন, ‘অর্থের অভাবে চিকিৎসা হলো না বাবার। ধুঁকে ধুঁকে চলে গেলেন তিনি! ভাতা বন্ধ করে দিলেও শেষ যাত্রায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদা তো পেল আমার বাবা। ‘
আমাসু বর্মণের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ গ্রামে। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ইউনিট কমান্ডার বদরুদ্দোজা বদর বলেন, আমাসু বর্মণ পাক-হানারদের বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান জানান, আমাসু বর্মণ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তার নম্বর ০৩১০০১০৪২৯। তিনি সম্মানী ভাতা পেয়েছিলেন। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম বিকৃত হওয়ায় ভাতা থেকে বঞ্চিত হন আমাসু বর্মণ।
আমাসু বমর্ণের স্ত্রী বনমালা রানী বলেন, মোর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে জটিল রোগে ভুগছিলেন। আজ হামাক ছেড়ে গেলেন। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারুনি বাহে।
আমাসু বর্মণের ভাইয়ের ছেলে নিতাই চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেন, আমার কাকা জাতীয় পরিচয়পত্রে সংশোধনের জন্য অনেক দেন দরবার করেও ফল হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মুক্তিযোদ্ধার নাম ও বয়স সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি আমাদের এখতিয়ার বহির্ভূত। তবে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।