জুমবাংলা ডেস্ক : ভারতের আসামে স্থানীয় দুষ্কৃতিকারীদের পিটুনিতে তিন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এনিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশে কোরবানির গরুর কোনো সংকট নেই, তাই ভারত থেকে আনার প্রশ্নই আসে না। বাংলাদেশের সিলেট সীমান্ত সংলগ্ন আসামের করিমগঞ্জ জেলার একটি গ্রামে তিন বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ভারত। করিমগঞ্জের এসপি কুমার সঞ্জিত কৃষ্ণ জানান, পাথারকান্দির পুলিশ স্টেশনের আওতাধীন বগরিজান চা বাগান এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। তিনি দাবি করেন, নিহতরা গরু চুরির উদ্দেশে ভারতে প্রবেশ করেন। তাদের সঙ্গে খাবারসহ দড়ি ও চাকু ছিল। যদিও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি বলছে, এ বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য মেলেনি।
সিলেট ৫২ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. মো. শহিদুল্লাহ বলেন, আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কোন নাম ঠিকানা পাই নাই। বাংলাদেশে থেকে পরিবার বা অন্য কোথাও থেকে মিসিং কেস পাই নাই। যদি নিশ্চিত হই তারা বাংলাদেশি এবং তাদের পরিবার আছে। তাহলে অবশ্যই তদন্ত হবে।
এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, সীমান্তের যেসব এলাকায় বাংলাদেশিদের বারে বারে প্রাণ হারাতে হচ্ছে, সেসব এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। শিগগিরই অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবে সেখানে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, আমাদের যথেষ্ট গরু আছে; ওখানে গরু আনতে যাওয়াটা ঠিক না। এখন যারা বর্ডারে পাহার দেবে। যাতে কোন হত্যা না হয় সে নির্দেশনা দেয়া আছে। কিন্তু মাঝে মাঝে মৃত্যুর খবর শোনা যায়। বিশেষ করে বিএসএফকে আরেকটু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
এর আগে পহেলা জুন এক বাংলাদেশিকে করিমগঞ্জের একই এলাকায় গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়। এছাড়া গেলো বছরের আগস্টে এই করিমগঞ্জেই এক বাংলাদেশি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে নিহত হন।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো সম্প্রতি অভিযোগ করেছে, গরু পাচারে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর সমর্থন রয়েছে। যার কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বিজিবি জানিয়েছে, ভারত থেকে গরু পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ এখন পশু উৎপাদনে স্বাবলম্বী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।


