স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপে আর দুটো ম্যাচ আছে বাংলাদেশের। ভক্তরা হা করে তাকিয়ে আছেন মাশরাফিদের দিকে। নিজেরাও হিসেব কষছেন কি করলে কি হবে। সেমিফাইনালের টিকিট পেতে হলে পাক-ভারতকে কিভাবে হারাতে হবে সে চিন্তা ভক্তদেরও। আবার অন্য দলের ম্যাচগুলোর ফলাফলের দিকেও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি তাদের। কারণ তাতে বাংলাদেশের উপকার কিভাবে হচ্ছে তাই বিবেচনা করছেন তারা। ভক্তদের মতো খেলোয়াড়দের মাথায়ও আছে অন্যদলের ম্যাচের ফলাফল। ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের সমর্থন নিয়ে মোসাদ্দেক ‘যারা জিতলে আমাদের সুবিধা, তাদের সমর্থন করবো’।
মাশরাফি বিন মুর্তজা আবার রাখ ঢাক না করে বললেন ‘সমর্থন নয়, বলতে পারেন আমাদের চাওয়া। চাইব কালকে ভারত জিতুক, এরপর আমরা ভারতের সঙ্গে জিতি।’ আপাতত সেই চাওয়ার পথ ধরে নিজেদের পাওয়ার ঠিকানা খুঁজছে বাংলাদেশ। অধিনায়কের দুই চাওয়ার একটি নিজেদের হাতে আছে, আরেকটি নেই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি যদি বৃষ্টিতে ভেস্তে না যেতো এবং প্রত্যাশা মতো হারানো যেত লঙ্কানদের, কিংবা নিউজিল্যান্ডকে বাগে পাওয়া ম্যাচে যদি জয়টা ধরা দিত, তাহলে নিজেদের ভাগ্য নিজেদের হাতেই থাকত। সেটি হয়নি বলেই এখন সবকিছু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেই। এখন রোববার ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচে অসহায়ভাবে তাকিয়ে থাকতে হবে রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষায়। কামনা করতে হবে ইংল্যান্ডের আরেকটি হার। এরপর করতে হবে নিজেদের কাজ, মঙ্গলবার হারাতে হবে ভারতকে। আগের সুযোগগুলি হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপ এখনও পোড়ায় মাশরাফিকে। তবে সেই দীর্ঘশ্বাস থেকেই নতুন আশার আলো খুঁজছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
‘অন্য ম্যাচগুলির দিকে আমাদের তাকিয়ে থাকতে হবেই। যতোই ওদিকে মন দিতে না চাই, অজান্তেই খেয়াল চলে যাবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, নিজেদের কাজটুকু করতে পারা। সেদিকে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেওয়া। ভারতকে যদি হারাতে পারি, পরের ম্যাচে পাকিস্তানকে, তাহলে অন্তত নিজেদের কাজটুকু করতে পারার তৃপ্তি পাব।’ টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট ভারতকে কিভাবে হারানো সম্ভব। মাশরাফির ঝটপট উত্তর, ‘৩০০-৩২০ রানের মধ্যে ওদের আটকাতে হবে। আমরা আগে ব্যাট করলে অন্তত ৩৪০ করতে হবে।’ অধিনায়কের এই হিসাব অবশ্য এজবাস্টনের উইকেটের আগের ধারণা থেকে। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি-ফাইনালে ভারতের সঙ্গে এখানেই খেলেছিল বাংলাদেশ। ২৬৪ রান তুলে কোনো লড়াই করতেই পারেনি মাশরাফিরা। ৯ উইকেটে হারতে হয়েছে ৫৯ বল বাকি থাকতে।
বাংলাদেশ অধিনায়কসহ দলের অনেকের ধারণা, এবারও ব্যাটিং উইকেটই হতে পারে। তবে এই বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত এই মাঠে যে দুটি ম্যাচ হয়েছে, তাতে ব্যাটিং স্বর্গ দেখা যায়নি একটিতেও। চার ইনিংসের একটিও স্পর্শ করতে পারেনি আড়াইশ রান। বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচ কোন উইকেটে হবে, ব্যবহৃত উইকেট নাকি নতুন উইকেট, এসব অনেক কিছুই বিবেচনায় নেওয়া হবে রণপরিকল্পনায়। তবে উইকেট শেষ পর্যন্ত যেমনই হোক, ভারতকে চাপে ফেলার একটি সরল অঙ্ক মাশরাফির জানা আছে। ‘টপ অর্ডার ওদের বড় শক্তি। টপ অর্ডার যত দ্রুত সম্ভব ভেঙে মিডল অর্ডারকে উইকেটে আনতে হবে তাড়াতাড়ি। আর ওদের নতুন বলের বোলারদের উইকেট বেশি দেওয়া যাবে না। দুই রিস্ট স্পিনার কুলদীপ ও চেহেল যখন আসবেন, তখন যেন আমাদের হাতে উইকেট থাকে যথেষ্ট।’ মোসাদ্দেকের হিসাবও সহজ। কিভাবে কি হবে, সেই খুঁটিনাটি ভাবনা তো টিম মিটিংয়ে থাকবেই। তবে এই অলরাউন্ডারের সোজাসাপ্টা ভাবনা, শ্রেয়তর খেলে জিততে হবে। ‘অবশ্যই ভারত শক্ত প্রতিপক্ষ। তবে আমি মনে করি, আমরা যে ক্রিকেট খেলে আসছি, সেটি খেলতে পারলে ভালো কিছু হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।