আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সরকারের সাথে তিন দফা আলোচনাতেও কোনো ফল না আসার পর ভারতজুরে বন্ধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে দিল্লিতে বিক্ষোভরত কৃষকরা। আজ মঙ্গলবার এ বনধ্ কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছে তারা। খবর বিবিসি বাংলার।
হাজার হাজার কৃষক গত বার দিন ধরে দিল্লির প্রবেশপথ গুলো ঘেরাও করে অবস্থান করে আছে।
এরই মধ্যে দেশটির অন্তত পনেরটি বিরোধী দল কৃষকদের এ আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে।
সরকার ও আন্দোলনরত কৃষকদের মধ্যে আগামীকাল নয় নভেম্বর পরবর্তী বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপি বলছে যে সংস্কারের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তাতে বেসরকারি খাত কৃষিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখার সুযোগ পাবে কিন্তু এটি কৃষকদের আয়ের কোনো ক্ষতি করবেনা।
কিন্তু কৃষকরা এটি গ্রহণ করতে নারাজ।
সাম্প্রতিক সময়ে পায়ে হেঁটে ও ট্রাক্টরে করে তারা দিল্লি অভিমুখে রওনা দেয়।
পুলিশ দিল্লির সীমান্তে ব্যারিকেড দিলে কৃষকদের সাথে সংঘর্ষ হয়।
বিক্ষোভরত কৃষকদের বড় অংশই এসেছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকে। মূলত এরাই দেশটির ধনী কৃষক সম্প্রদায়।
তাদের আন্দোলনের প্রচার চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এবং দেশে বিদেশে প্রভাবশালী শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যেও।
পরে তারা শহরে প্রবেশের অনুমতি পেলেও হাজার হাজার কৃষক শহরের সীমান্তেই অবস্থান নিয়ে আছে এবং সরকার সংস্কার থেকে সরে না আসা পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান নেয়ার হুমকি দিয়েছে।
ওদিকে ভারতে বিতর্কিত তিনটি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকরা গত দশ-বারোদিন ধরে যে তুমুল আন্দোলন করছেন, তার প্রতি দুনিয়াজুড়ে প্রবাসী শিখ সম্প্রদায় সমর্থন জানাচ্ছেন।
নিউ ইয়র্ক থেকে লন্ডন, টরন্টো থেকে সানফ্রান্সিসকো, অকল্যান্ড থেকে বার্লিন – এই সপ্তাহান্তে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে শিখরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, আন্দোলনকারী কৃষকদের সমর্থনে গাড়ির মিছিল পর্যন্ত বের করছেন।
সম্প্রতি পার্লামেন্টে পাস হওয়া তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে এ আন্দোলন শুরু হয়।
অব্যাহত এই তুমুল বিক্ষোভে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে কৃষক সংগঠনগুলো সড়ক ও রেলপথও অবরোধ করেছেন।
বিলগুলোতে ঠিক আছেটা কী?
ঠিক আটদিন আগে পার্লামেন্টে পাস হওয়া যে তিনটি বিলকে ঘিরে এই ধুন্ধুমার – তার প্রথমটিতে সরকার নিয়ন্ত্রিত পাইকারি কৃষিবাজার বা মান্ডিগুলো কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে।
দ্বিতীয় বিলটি ফসলের আগে থেকে ঠিক করে রাখা দামে চুক্তিভিত্তিক চাষ বা কনট্রাক্ট ফার্মিংয়ের পথ প্রশস্ত করবে।
আর ব্যবসায়ী বা উৎপাদকরা চাল-ডাল-আলু-পেঁয়াজ ইত্যাদি কতটা মজুত করতে পারবেন, এই মুহুর্তে তার ওপর যে সরকারি নিয়ন্ত্রণ আছে তৃতীয় বিলটি সেটাই বিলোপ করবে।
বিলের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে সিনিয়র ক্যাবিনেট মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি আবার বলছিলেন, “কৃষিমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত বারবার নানা মঞ্চে আশ্বস্ত করেছেন, এসএসপি থাকবে – চিন্তার কিছু নেই।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



