বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে অবৈধভাবে মাছ শিকার করার দায়ে বঙ্গোপসাগর থেকে ভারতীয় দুটি ট্রলার জব্দ করে নৌবাহিনীর সদস্যরা। তাদের ট্রলার থেকে পাওয়া ইলিশসহ আট হাজার কেজি মাছ পরে নিলামে বিক্রি করা হয়। অপর দিকে ট্রলারে থাকা ৩৪ জেলেকে বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় মৎস্য বিভাগের ডাকা নিলামে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ভোর পর্যন্ত মাছগুলো বিক্রি করা হয় ১৭ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকায়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে মোংলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য আইন অনুযায়ী শিকার হওয়া অবৈধ মাছ নিলামে তুলে বিক্রির বিধান রয়েছে। এ কারণে অবৈধভাবে ভারতীয় জেলেদের জালে ধরা ইলিশ, বেলে, রূপচাঁদা, ছুরি, চিংড়িসহ ১০ প্রজাতির আট হাজার সামুদ্রিক মাছ নিলামে তুলে বিক্রি করা হয়। মাছ বিক্রির টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিয়মিত টহল চলাকালে জাহাজের রাডারে সন্দেহজনক মাছ ধরার ট্রলারের উপস্থিতি লক্ষ্য করে নৌবাহিনীর সদস্যরা। ট্রলার দুটির দিকে টহল দল এগোতে থাকলে ট্রলারগুলো নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ভারতীয় জেলেরা। তখন ধাওয়া করে ‘এফবি ঝড়’ ও ‘এফবি মঙ্গল চন্ডি-৩৮’ নামে দুটি ভারতীয় মাছ ধরার ট্রলার এবং সঙ্গে থাকা ৩৪ ভারতীয় জেলেকে বাংলাদেশের জলসীমার মধ্যেই আটক করে নৌবাহিনী।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, আটক ৩৪ ভারতীয় জেলেদের বিরুদ্ধে সমুদ্র আইন বা মেরিন ফিশারিজ ‘ল’ ধরায় মামলা হয়েছে। মোংলা নৌঘাঁটির পেটি অফিসার রেজাউল করিম বাদী হয়ে এই মামলা করেন। আসামিরা ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।