বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : মাস্কের স্টারলিঙ্ককে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স দিতে তৈরি ভারত, জানালেন কেন্দ্রীয় যোগোযোগ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তবে তার সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন একটি শর্তও। এই বিষয়টি নিয়ে ভারতের যা যা শর্ত বা নিয়ম রয়েছে, সেগুলি মেনে চলতে হবে মাস্কের সংস্থাকে। এএনআই প্রতিবেদন সূত্রের খবর, ভারতে লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করেছে স্টারলিঙ্ক।
এএনআই প্রতিবেদন সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেছেন, ‘আমরা স্টারলিঙ্ক-সহ যে কাউকে লাইসেন্স দেওয়ার তৈরি। তবে তাদের আমাদের নিয়ম মানতে হবে। আমাদের দেখতে হবে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সব দিক ঠিকমতো মেনে চলা হয়েছে কি না।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, সব শর্তপূরণ করা হয়েছে কি না দেখতে হবে। সব মানলে লাইসেন্স মিলবে।
স্টারলিঙ্ক ইলন মাস্কের মালিকানাধীন একটি স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সংস্থা। এর আগে নিলাম না করে স্পেকট্রাম বণ্টন নিয়ে বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। তখন সেই সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন মাস্ক। এর মধ্যে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হয়েছেন। এই আবহে ভারতে স্টারলিঙ্ক ব্যবসা করতে আরও বেশি আগ্রহী হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ডিজিটাল ক্ষেত্রে উন্নতির উপর জোর দিচ্ছে ভারত সরকার। তার জন্য দেশের সর্বত্র ইন্টারনেট সংযোগ জরুরি। স্টারলিঙ্কের তরফে তাদের পরিষেবা নিয়ে যা যা বলা হয়েছে, তাতে এই পরিকাঠামোয় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সহজেই ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে যাবে। ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেন বা অন্য পরিষেবা পেতেও সুবিধা হবে।
স্টারলিঙ্ক ইউক্রেনে পরিকাঠামোগত সহায়তা করছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেন সেনা যোগাযোগ রক্ষার জন্য় ভরসা করছে স্টারলিঙ্কের উপরে। যেখানে চিরাচরিত পদ্ধতিতে মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, সেখানেও স্টারলিঙ্কের পরিকাঠামোর সাহায্যেই যোগাযোগ রক্ষা করছে ইউক্রেন সেনা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।