আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের মহারাষ্ট্রে অবস্থিত কালিয়া শহরের রেলস্টেশন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন পাঁচ নারী। পরে সন্দেহজনক গতিবিধি দেখে তাঁদের আটক করে ভারতীয় পুলিশ। জানতে চায়, নাম-ঠিকানা। কিন্তু ওই নারীদের কেউই হিন্দি ভাষায় কথা বলতে পারছিলেন না।
এ অবস্থায় আশপাশে বাংলা ভাষা জানা এক ব্যক্তির সহযোগিতা নেয় পুলিশ। নারীরা জানান তাঁরা বাংলাদেশি।
শনিবার রাতে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নারীদের কারও কাছে ভারতে অবস্থান করার বৈধ কোনো কাগজ ছিল না। তাঁদের মধ্যে ২৪ বছর বয়সী একজন নিজেকে রিক্তা সিং হিসেবে পরিচয় দেন। পরে জানা যায়, এই নামে তিনি ভারতে নিজের পরিচয় গোপন করে বসবাস করছেন। এ ছাড়া তিনি এক ভারতীয়কেও বিয়ে করেছেন। তাঁর আসল নাম আঁখি আক্তার।
জেরার মুখে আঁখি জানান, সঙ্গে থাকা চার নারীকে তিনি বাংলাদেশ থেকে চাকরির কথা বলে ভারতে প্রবেশ করিয়েছেন। ওই নারীদের তিনি বিউটি পারলারে কাজ দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়েছিলেন। স্থানীয় একটি বারে ড্যান্সার হিসেবে কাজ করেন আঁখি। পুলিশের ধারণা, অবৈধ উপায়ে মানুষকে মনোরঞ্জন করার কোনো কাজেই ওই চার নারীকে যুক্ত করতে চেয়েছিলেন তিনি।
স্থানীয় পুলিশের সহকারী কমিশনার কালিঞ্জি ঘেটে জানান, পাঁচ বছর ধরে ভারতে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন আঁখি। নিজেকে উত্তর প্রদেশ থেকে আসা এবং হিন্দু দাবি করে সাত মাস আগেই রঘুনাথ মণ্ডল নামে স্থানীয় এক ভারতীয়কে বিয়ে করেন তিনি। যে চার নারীকে তিনি ভারতে অনুপ্রবেশ করিয়েছেন তাঁদের সবার বাড়ি বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলায়। মূলত তাঁরা সবাই গরিব ঘরের মেয়ে।
অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে পরে আঁখিসহ ওই চার নারীকেও পুলিশ তাঁদের হেফাজতে নিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে প্রায়ই গরিব পরিবারের নারীরা ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেন এবং মুম্বাইয়ের কিছু বস্তি এলাকায় বসবাস করেন। সহজে অর্থ কামানোর জন্য বারডান্সসহ তাঁরা অবৈধ কিছু পেশায় জড়িত হন।
এ অবস্থায় মুম্বাইয়ের বস্তি এলাকাগুলোতে অবৈধভাবে বসবাস করা বাংলাদেশি নারীদের খুঁজে বের করতে একটি অভিযান পরিচালনা করার কথাও ভাবছে স্থানীয় প্রশাসন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।