জুমবাংলা ডেস্ক : মহামারি করোনার অজুহাতে ভারত বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় ৩ মাসের অধিক সময় ধরে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য ভারতে ঢুকতে দিচ্ছেনা। কিন্তু গত মাস হতে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্য বাংলাদেশে ঢুকেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারতে রপ্তানি করা বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা।
তাই এবার বাংলাদেশী সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের বাধার মুখে ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। বাংলাদেশী পণ্য রফতানিতে বাধা দেয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার( ৩০ জুন) দুপুর থেকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানি হওয়া পণ্য খালাস বন্ধ করে দেয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। তাদের দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে পণ্য রফতানি করা যাবে, ততক্ষণ আমদানিও বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানি বন্ধ হবায় ভারত বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় কারণ বাংলাদেশ ভারতের অন্যতম বড় রপ্তানি বাজার। আর এর প্রেক্ষিতে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশন বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেছে বাণিজ্য স্বাভাবিক করতে। এর প্রেক্ষিতে গত ৬ জুন হতে ভারত থেকে পণ্য বোঝাই গাড়ি ঢুকেছে বাংলাদেশে। কিন্তু বাংলাদেশের কোন রপ্তানি পণ্য বোঝাই গাড়ি ভারতে ঢুকতে দেয়া হচ্ছিল না। এর প্রেক্ষিতে ভারত করোনা কে দায়ী করে।
কিন্তু এদেশের সিএন্ডএফ এজেন্টরা প্রতিবাদ করে সেদেশ থেকে আমদানি পণ্য খালাস বন্ধ করে দেয়। তাদের দাবি রপ্তানি পণ্য ভারতে ঢুকতে দিলে তবেই আমদানি পণ্য খালাস করা হবে। বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের দ্বিতীয় বৃহৎ অংশীদার হল ভারত। দেশ দুটির বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় দশ বিলিয়ন ডলার যেখানে বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। তবে সম্প্রতি ভারতে ক্রমেই বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছিল। ভারতে এখন বাংলাদেশের রপ্তানি এক বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
সৌজন্যেঃ- ডিফেন্স রিসার্চ ফোরাম( ডেফরেস)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।