স্পোর্টস ডেস্ক : গত সোমবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট করতে গিয়ে পায়ের ইনজুরিতে পড়েছিলেন ম মাহমুদউল্লাহ। ফলে ব্যাটিংয়ের সময় ২২ গজে দৌড়েছেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মাহমুদউল্লাহ টিম হোটেল থেকে বের হলেন ক্রাচে ভর দিয়ে। ছেলে রায়িদকে পাশে নিয়ে আস্তে আস্তে উঠলেন টিম বাসে। দৃশ্যটি যথেষ্টই শঙ্কা জাগানোর মতো। তবে বাংলাদেশের অধিনায়ক ও ম্যানেজারের বিশ্বাস, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে পাওয়া যাবে এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে।
স্ক্যানে মাহমুদউল্লাহর কাফ মাসলে গ্রেড ওয়ান টিয়ার ধরা পড়ার খবর আগের রাতেই নিশ্চিত করেছেন ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ। গতকাল মঙ্গলবার বার্মিংহামে রওনা হওয়ার আগে ম্যানেজার শোনালেন আশার কথা। তিনি বলেন ওর আঘাত সেরে ওঠার মতো। এখনও সাত দিন সময় আছে।
ফিজিও চেষ্টা করবেন ওকে যতটা সম্ভব সারিয়ে তোলার। যদিও এখন ফিফটি-ফিফটি অবস্থা। এখনই বলা কঠিন। তবে আমরা আশা করি তাকে পাব। ওর মতো ক্রিকেটার এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দরকার আছে। ম্যানেজারের চেয়ে আশার জোর বেশি অধিনায়কের কণ্ঠে। মাশরাফি বিন মুর্তজা সেই বিশ্বাসটা পাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে কথা বলেই।
স্ক্যানের রিপোর্ট দেখার পর ফিজিও যখন বলেছেন যে অন্তত ৭ থেকে ১০ দিনের বিশ্রাম দরকার হবে। তখনই রিয়াদ বলেছে যে ভারতের বিপক্ষে সে খেলবেই। অবস্থা যেমনই হোক। আশা করি সাত দিনে অনেকটা ঠিক হয়ে উঠবে।
গত সোমবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে পায়ের ওই অবস্থায়ই রিয়াদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জুটি গড়েছে মুশফিকের সঙ্গে। যতটা সম্ভব দ্রুত রান নিয়েছে। মাশরাফি বলেন আমি নিশ্চিত, ভারতের বিপক্ষে খেলার সামান্য সুযোগ থাকলেও সে খেলবে। মানসিক জোর যেহেতু আছে, শারীরিক কিছু ঘাটতি থেকে গেলেও পুষিয়ে নিতে পারবে।
সোমবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটিংয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই দৌড়ের সময় খোঁড়াতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। ফিজিওকে মাঠে যেতে হয় দুই দফায়। তবু উইকেট না ছেড়ে ব্যাটিং চালিয়ে যান। ২৭ রানের ইনিংস খেলার পথে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে গড়েন ৬৬ রানের মূল্যবান জুটি। পরে আর ফিল্ডিংয়ে নামেননি। মাঠ থেকেই তাকে স্ক্যান করাতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ধরা পড়ে গ্রেড ওয়ান টিয়ার। এই বিশ্বকাপের আগে থেকেই কাঁধের চোট বয়ে বেড়াচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ, যে চোটের কারণে বোলিং করতে পারছেন না। ব্যাটিং করছেন কাঁধে মোটা টেপ পেঁচিয়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।