আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে এক মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একটি জেলার নাম পরিবর্তনের জেরে সৃষ্ট বিক্ষোভ থেকে মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন দেওয়ার এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভি ও হিন্দুস্তান টাইমস।
গতকাল মঙ্গলবার জেলার নাম পাল্টানোর প্রতিবাদে অন্ধ্রপ্রদেশের পরিবহণ মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এই ঘটনায় মন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে জনতার হাত থেকে তাদের বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন ২০ জন পুলিশকর্মী।
সহিংস এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব জানিয়েছেন, মূল দোষীদের গ্রেপ্তার করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
জানা গেছে, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে সম্প্রতি একটি জেলা ভেঙ্গে নতুন নামে আরেকটি জেলা ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী সময়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেটির নাম পাল্টে দেওয়া হলে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
গতকাল সকাল থেকেই এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে জনগণ। সে বিক্ষোভ হঠাৎ করেই সহিংস হয়ে উঠে। পূর্ব কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই হামলা করা হয় পরিবহণ মন্ত্রী পিনিপি বিশ্বরুপুর বাড়িতে। একপর্যায়ে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, পরিবহণ মন্ত্রী পিনিপি বিশ্বরুপু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডির মন্ত্রিসভার সদস্য। ৬০ বছর বয়সী পিনিপি জগনমোহনের বাবা রাজশেখর রেড্ডির সময় থেকেই অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পালন করছেন।
সূত্র জানায়, গত ৪ এপ্রিল রাজ্যের পূর্ব গোদাবরী জেলা ভেঙে তৈরি হয় কোনাসীমা জেলা। পরে এই কোনাসীমার নাম বদল নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনাসীমার নাম বি আর আম্বেদকর কোনাসীমা বলে ঘোষণা করা হলে স্থানীয় বাসিন্দারা তার বিরোধিতা করতে শুরু করেন।
গত সপ্তাহে এ ব্যাপারে একটি নোটিশ জারি করে বলা হয়, এ নামকরণের ব্যাপারে যদি কোনো আপত্তি থাকে তাহলে যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা জানানো হয়। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে সরাসরি পথে নামে কোনাসীমার মানুষ। সেখানে থেকেই উত্তেজিত জনতা হঠাৎ করে পরিবহণ মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন দেয়।
অন্য আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, একই সময়ে শাসক দলের আরেক বিধায়ক পোন্নাডা সতীশের বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে জনতা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।