Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home ভারতের যে স্টেডিয়ামগুলোতে বিশ্বকাপ খেলা হবে
    ক্রিকেট (Cricket) খেলাধুলা

    ভারতের যে স্টেডিয়ামগুলোতে বিশ্বকাপ খেলা হবে

    July 23, 20238 Mins Read

    স্পোর্টস ডেস্ক : শুরু হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ১৩তম আসর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আয়োজিত এক দিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) ক্রিকেট টুর্নামেন্টটির পর্দা উঠতে যাচ্ছে চলতে বছরের ৫ অক্টোবর, চলবে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। গতবারের মতো এবারো ক্রিকেট যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে চলেছে ১০টি দেশ। এবার প্রথমবারের মতো এককভাবে পুরো বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে ভারত। দেশটির ১০টি ভিন্ন শহরের ১০টি স্টেডিয়ামে সব মিলিয়ে মোট ৪৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, ধর্মশালা, হায়দ্রাবাদ, কলকাতা, লাখনৌ, মুম্বাই এবং পুনের স্টেডিয়ামগুলো এখন প্রস্তুতির চূড়ান্ত মুহূর্তে।  ভারতের যে স্টেডিয়ামগুলোতে বিশ্বকাপ খেলা হবে

    চলুন ভেন্যুগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

    আইসিসি বিশ্বকাপের ১০ স্টেডিয়াম

    নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম, আহমেদাবাদ

    ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অবস্থিত এ স্টেডিয়ামটি আগে পরিচিত ছিল মোটেরা স্টেডিয়াম নামে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম স্টেডিয়াম, যেখানে এক লাখ ৩২ হাজার দর্শকের বসার ক্ষমতা রয়েছে। স্টেডিয়ামটি গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মালিকানাধীন। ২০২১-এর ২৪ ফেব্রুয়ারি এর নাম পরিবর্তন করে ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামানুসারে নামকরণ করা হয়।

    স্টেডিয়ামটি নির্মিত হয়েছিল ১৯৮৩ সালে। প্রথম সংস্কার হয় ২০০৬ সালে। নতুন ডিজাইনে স্টেডিয়ামটির জায়গা ৬৩ একর। এখানে প্রবেশপথ রয়েছে তিনটি। যেগুলোর একটির সাথে একটি মেট্রো লাইন সংযুক্ত। স্টেডিয়ামের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো ক্রিকেট মাঠে সাধারণ ফ্লাডলাইটের পরিবর্তে ছাদে এলইডি লাইট। ছাদটির ডিজাইন করা হয়েছে বিশেষভাবে হালকা এবং বসার সারি থেকে আলাদা করে। যাতে এটি মোটামুটি ভূমিকম্প-প্রতিরোধী হয়। কাঠামোতে কোনো স্তম্ভ না থাকায় স্টেডিয়ামের যেকোনো স্থান থেকে দর্শকদের পুরো মাঠ দেখতে কোন সমস্যা হয় না।

    আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ আসরের ফাইনাল ম্যাচসহ মোট পাঁচটি খেলা এখানে অনুষ্ঠিত হবে।

    এম. এ. চিদাম্বারাম স্টেডিয়াম, চেন্নাই

    মুথিয়া আন্নামালাই বা এম. এ. চিদাম্বারাম স্টেডিয়াম ভারতের চেন্নাইয়ের তামিলনাড়ুতে অবস্থিত। যার আরেক নাম চেপাউক স্টেডিয়াম। বঙ্গোপসাগরের ধারে মেরিনা বিচ থেকে কয়েক শ’ মিটার দূরে চেপাউকে এর অবস্থান। স্টেডিয়ামের উত্তরের গা ঘেষে চলে গেছে ব্যাকিংহাম খাল।

    ১৯১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত স্টেডিয়ামটি সর্বপ্রথম পরিচিত ছিল মাদ্রাজ ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ড নামে। পরবর্তীতে এটি মুথিয়া আন্নামালাই চিদাম্বারাম চেত্তিয়ার নামে নামকরণ করা হয়। তিনি ছিলেন বিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি এবং তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (টিএনসিএ)-এর প্রধান। এই স্টেডিয়াম তামিলনাড়ু ক্রিকেট দল এবং আইপিএল দল চেন্নাই সুপার কিংসের হোম গ্রাউন্ড।

    এর ব্যাপক সংস্কার ঘটে ২০১১ সালে। প্রথমে এর স্তম্ভ সহ পুরোনো ছাদ পুরোনো স্টেডিয়ামের দৃশ্যকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। সংস্কারের পর তা তারের দ্বারা একত্রে রাখা হালকা চতুর্ভুজ শঙ্কুযুক্ত ছাদ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। ফলে পুরো স্টেডিয়াম দেখতে এখন আর কোনো বাধা নেই।

    স্টেডিয়ামে বর্তমানে ৫০ হাজার দর্শক বসতে পারে। এই ভেন্যুতে এবারের বিশ্বকাপের মোট পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

    ইডেন গার্ডেন, কলকাতা

    ‘ক্রিকেটের কলোসিয়াম’ ‘ভারতীয় ক্রিকেটের আতুর ঘর’। এ সবগুলো বিশেষণেই ব্যাপকভাবে স্বীকৃত পশ্চিমবঙ্গের এই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি। ভারতের প্রাচীনতম এই ক্রিকেট ভেন্যুটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৬৪ সালে। গোটা ভারতে দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং সারা বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামটির বর্তমান ধারণক্ষমতা ৬৬ হাজার দর্শক।

    ইডেন গার্ডেন ওডিআই বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপ সহ বড় বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ম্যাচ আয়োজন করেছে। এছাড়াও স্টেডিয়ামটি বেঙ্গল ক্রিকেট দল এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ(আইপিএল)-এর ফ্র্যাঞ্চাইজি হোস্ট করে।

    ইডেন গার্ডেন তার বিশাল এবং উৎসুক দর্শকদের ভিড়ের জন্য বিখ্যাত। ১৯৯৬-এর বিশ্বকাপে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা সেমিফাইনালে এক লাখ ১০ হাজার ৫৬৪ জন দর্শকের ভিড়ের রেকর্ড গড়ে। ২০১৬ সাল থেকে খেলার শুরুতে স্টেডিয়ামে একটি ঘণ্টা বাজানোর প্রথা চালু হয়।

    এবারের টুর্নামেন্টে সেমিফাইনাল সহ মোট পাঁচটি ম্যাচের জন্য নির্ধারিত হয়েছে ইডেন গার্ডেন।

    অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম, দিল্লি

    কলকাতার ইডেন গার্ডেনের পর ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম ক্রিকেট ভেন্যু দিল্লির এই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। দিল্লি ও জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (ডিডিসিএ)-এর মালিকানায় পরিচালিত এ স্টেডিয়ামটির অবস্থান নয়া দিল্লির বাহাদুর শাহ জাফর মার্গ-এ। ১৮৮৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়াম নামে, যার নামকরণ হয়েছিলো নিকটবর্তী দুর্গ কোটলার নামে। ২০১৯-এর ১২ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন ডিডিসিএ সভাপতি ও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির নামানুসারে স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয়। বর্তমানে স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৪১ হাজার ৮৪২।

    ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দল এই মাঠে টেস্ট ম্যাচে ২৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে এবং ওয়ানডে ম্যাচে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অপরাজিত ছিল। তবে ২০০৯-এর ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে একটি ওডিআই ম্যাচটি বাতিল হয়েছিলো পিচের প্রতিকূল অবস্থার কারণে। এছাড়া ২০১৭-১৮ সালে ভারতে শ্রীলঙ্কার তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের ম্যাচটি বাতিল হওয়ার পিছনে কারণ ছিলো এলাকার বৈরী পরিবেশ। সে সময় ধোঁয়াশার ফলে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের খেলা বন্ধ করে দূষণ বিরোধী মুখোশ পরতে হয়েছিলো। ক্রিকেট ইতিহাসে এই বিরল দৃষ্টান্তের ফলে ভেন্যুটির নামের সঙ্গে কুখ্যাতি জড়িয়ে পড়ে।

    এবারের বিশ্বকাপের মোট পাঁচটি খেলার জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে এ মাঠটি।

    এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম, ব্যাঙ্গালুরু

    কর্ণাটক সরকারের উদার পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৬৯ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় মঙ্গলম বা এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের। এটি আইপিএল-এর ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হোম গ্রাউন্ড। পাঁচ দশকেরও বেশি পুরোনো এই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটির অবস্থান ভারতের কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে। মনোরম কাবন পার্ক, কুইন্স রোড, কুবন এবং আপটাউন এমজি রোডকে পাশে নিয়ে শহরের একদম কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ক্রিকেট ভেন্যুটি। এটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার। ওডিআই, আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টির পাশাপাশি এখানে নিয়মিত আয়োজন চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও।

    পূর্বে স্টেডিয়ামটি কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ছিল। পরে মঙ্গলম চিন্নাস্বামী মুদালিয়ারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এর নতুন নামকরণ করা হয়। মান্ডিয়ার মানুষ চিন্নাস্বামী পেশায় ছিলেন একজন আইনজীবী। এছাড়া তিনি ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত বিসিসিআই-এর সভাপতি ছিলেন।

    চিন্নাস্বামী বিশ্বের প্রথম ক্রিকেট স্টেডিয়াম, যেখানে সোলার প্যানেল ব্যবহার করা হয়। প্যানেলগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিলো কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (কেএসসিএ)-এর ‘গো গ্রীণ’উদ্যোগের মাধ্যমে।

    আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩-এর মোট পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে।

    এইচপিসিএ স্টেডিয়াম, ধর্মশালা

    হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম, সংক্ষেপে এইচপিসিএ স্টেডিয়ামের অবস্থান ভারতের হিমাচল প্রদেশের কাংড়া জেলার ধর্মশালা শহরে। এইপিসিএর মালিকানায় স্টেডিয়ামটির প্রতিষ্ঠা হয় ২০০৩ সালে। ধর্মশালা শহরটি আন্তর্জাতিকভাবে তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামার বাড়ি হিসেবে সুপরিচিত। তাই এই মনোরম ক্রিকেট ভেন্যুটি পর্যটকদের জন্যও পছন্দের জায়গা।

    বিশ্বের অন্যতম সুন্দর এই ক্রিকেট মাঠটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ২৩ হাজার। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এক হাজার ৪৫৭ মিটার উচ্চতায় ডিম্বাকৃতির জায়গাটিকে ঘিরে আছে তুষারাবৃত হিমালয় পর্বত।

    ভেন্যুটি বিশেষত আইপিএল ম্যাচের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। উচ্চতার কারণে ব্যাট্সম্যানদের বড় বড় ছক্কা মারার জন্য এর বেশ সুখ্যাতিও আছে। তবে পার্বত্য অঞ্চল এবং কনকনে শীত খেলার জন্য প্রতিকূলতা সৃষ্টি করে। বিশেষ করে বৃষ্টি এবং তুষারপাতের সময়গুলোতে প্রায়ই ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।

    এবারের বিশ্বকাপে এই ভেন্যুটি মোট পাঁচটি ম্যাচের জন্য নির্ধারিত হয়েছে।

    রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, হায়দরাবাদ

    ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দ্রাবাদের এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি হায়দরাবাদ ক্রিকেট স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত। উৎপলের পূর্ব উপশহরে ১৫ একর জমি জুড়ে বিস্তৃত এই স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ ৫৫ হাজার দর্শক বসতে পারে। এটি হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন(এইচসিএ) এবং আইপিএল দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হোম গ্রাউন্ড। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয় ভারতের জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর নামে।

    ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বাংলাদেশ এই ভেন্যুতে তাদের প্রথম টেস্ট খেলে। সমতল ট্র্যাকের উইকেটের এই মাঠ ব্যাটসম্যান-বান্ধব এবং উচ্চ-স্কোরিং পিচ হিসাবে বিখ্যাত। এর প্যাভিলিয়ন প্রান্ত এবং উত্তর প্রান্ত নামে দু’টি প্রধান সীমানা রয়েছে। কিংবদন্তির তারকা ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষ্মণের অবসরের পর, এইচসিএ তার নামে উত্তর প্রান্তের নামকরণ করে। আর প্যাভিলিয়ন প্রান্তের নামকরণ করা হয়েছে শিব লাল যাদব-এর নামানুসারে।

    এবারই প্রথম এই মাঠটি আইসিসি বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করবে। মোট তিনটি ম্যাচ নির্দিষ্ট করা হয়েছে এই মাঠে খেলার জন্য।

    ওয়াংখেড় স্টেডিয়াম, মুম্বাই

    মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মালিকানায় পরিচালিত এই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি আইপিএল-এর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হোম গ্রাউন্ড। মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ছাড়াও এখানে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) এবং আইপিএল-এর সদর দফতর রয়েছে। চার্চগেট পাড়ার মেরিন ড্রাইভের কাছে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো শচীন টেন্ডুলকারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি।

    পুরো মাঠটি স্থানীয় লাল মাটিতে পরিপূর্ণ, যার ফলে এর বাউন্সিং পিচ হিসেবে খ্যাতি আছে। অতিরিক্ত বাউন্স ব্যাটিং-এর জন্য বেশ সুবিধাজনক হওয়ায়, বছরের পর বছর ধরে পিচটি বোলারদের চেয়ে ব্যাটসম্যানদের কাছে বেশি পছন্দের। অবশ্য স্টেডিয়াম বরাবর সামুদ্রিক হাওয়া প্রবাহের কারণে পেস বোলাররা এখানে কিছুটা সুবিধা পান।

    স্টেডিয়ামের অন্যতম আকর্ষণ হলো সামনের দিকে প্রসারিত ছায়াদানকারি দীর্ঘ ছাদ। টেফলন ফ্যাব্রিকের ছাদ ওজনে তুলনামুলক হালকা এবং তাপ প্রতিরোধী। ছাদের জন্য কোন বীম সাপোর্ট নেই। ফলে দর্শকদের খেলা দেখায় কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় না। এছাড়া রয়েছে এক্সস্ট ফ্যানের ব্যবস্থা, যেগুলো গরম বাতাস শুষে নেয় এবং পশ্চিমের বাতাসকে ভেতরে আসতে দেয়।

    স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৩২ হাজার। এবারের টুর্নামেন্টে এখানে সেমিফাইনাল সহ মোট পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

    বিআরএসএবিভি ইকানা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, লাখনৌ

    বিআরএসএবিভি বা ভারতরত্ন শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ইকানা ক্রিকেট স্টেডিয়াম সাধারণত ইকানা ক্রিকেট স্টেডিয়াম নামেই সর্বাধিক পরিচিত। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের তত্ত্বাবধানে ২০১২-২০১৭ বছর রাজ্য সরকারের মেয়াদে ইকানা স্পোর্টজ সিটি এবং লাখনৌ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্ব হয়। এই চুক্তির অধীনেই নির্মিত হয় লাখনৌ-এর স্টেডিয়ামটি। প্রথমে ‘ইকানা ক্রিকেট স্টেডিয়াম’ নামটাই ঠিক করা হয়েছিল। পরে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর নামে এর নামকরণ করা হয়।

    ২০১৭ সালে খেলার জন্য উন্মুক্ত করা হলেও প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালে। সে বছর ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ভারত এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচ। এর মাধ্যমে স্টেডিয়ামটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন করা ৫২তম ভারতীয় স্টেডিয়াম হওয়ার মর্যাদা লাভ করে।

    ভারতের এই পঞ্চম বৃহত্তম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামটিতে ৫০ হাজার দর্শকের বসার ক্ষমতা রয়েছে। ভারতের অন্যান্য স্টেডিয়ামগুলোর তুলনায় এই স্টেডিয়ামটির সবচেয়ে দীর্ঘ সীমানা। ভেন্যুটি উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট দল এবং আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি লাখনৌ সুপার জায়ান্টসের হোম ভেন্যু।

    এবারের বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামটি মোট পাঁচটি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করবে।

    মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম, পুনে

    মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ)-এর মালিকানায় পরিচালিত এই স্টেডিয়ামটি ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনেতে অবস্থিত। শহরের সীমানার উপকণ্ঠে গাহুঞ্জে গ্রামে পুনে-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের ঠিক পাশেই স্টেডিয়ামটির অবস্থান। ২০১২ সালে আনুষ্ঠানিক উন্মোচনের পর প্রথম টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলা হয়েছিলো ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ভারত এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে।

    স্টেডিয়ামটি নকশা করেছেন ব্রিটিশ স্থপতি স্যার মাইকেল হপকিন্স। ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনের লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের মাউন্ট স্ট্যান্ড এবং এজেস বোল স্টেডিয়ামের নকশার জন্য তার জগত জোড়া খ্যাতি রয়েছে।

    এই স্টেডিয়ামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। এর বালি-ভিত্তিক আউটফিল্ড উন্নত প্রযুক্তির কারণে অতি ভারী বর্ষণেও, আউটফিল্ডের পানি দ্রুত বেরিয়ে যায়। ফলে মাঠ কয়েক মিনিটের মধ্যে আবার খেলার জন্য উপযোগী হয়ে যায়।

    এই মাঠের দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৩৭ হাজার ৪০৬ জন। এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপের মোট ৫টি খেলার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে এই স্টেডিয়ামটি।

    আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ভেন্যুগুলো আপগ্রেড করার জন্য ইতোমধ্যেই তহবিল দেয়া হয়েছে আয়োজক সংস্থাগুলোকে। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম এবং লাখনৌয়ের ইকানা স্টেডিয়ামের মতো নতুন সংযোজনগুলো দর্শকদের বেশ নজর কাড়বে। তবে পিছিয়ে থাকবে না দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম ও কলকাতার ইডেন গার্ডেনের মতো পুরোনোগুলোও। প্রস্তুতি ম্যাচগুলোর ভেন্যু ঠিক করা হয়েছে হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, গোয়াহাটির আসাম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম এবং তিরুবানান্তপুরামের গ্রিনফিল্ড আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    cricket ক্রিকেট খেলা খেলাধুলা বিশ্বকাপ ভারতের স্টেডিয়ামগুলোতে হবে
    Related Posts
    পুলিশে -কোহলি

    পুলিশের হাতে গ্রেফতার হবেন কোহলি!

    June 8, 2025
    মেসি- রোনালদো

    মেসির প্রতি আমার একটা আলাদা ভালো লাগা আছে : রোনালদো

    June 8, 2025
    নেইমার

    বড় দুঃসংবাদ পেলেন নেইমার

    June 8, 2025
    সর্বশেষ খবর

    অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ‘যমজ’ খ্যাত অভিনেত্রী তানিন

    Chhal Kapat

    Chhal Kapat: বিয়ের অনুষ্ঠানে রহস্যময় মৃত্যু, কে আসল খুনি?

    Bada Naam Karenge

    Bada Naam Karenge: সম্পর্কের জটিলতায় ভরা এক রোমান্টিক কমেডি!

    দেশে বাড়ছে করোনা, মাস্ক পরার অনুরোধ মন্ত্রণালয়ের

    বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫

    সরকার মাঝারি-ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে খুবই আন্তরিক: প্রধান উপদেষ্টা

    পেশোয়ারি গোশত

    মসলা ছাড়া পেশোয়ারি গোশত তৈরি করে ফেলুন

    হ্যালো মিনি

    হ্যালো মিনি: এক অজানা ভয়ের ছায়ায় ঢাকা রোমাঞ্চকর প্রেমের গল্প!

    কোরবানির মাংস খাওয়া

    কোরবানির মাংস খাওয়ার স্বাস্থ্যসম্মত ৪ টিপস

    গরুর মাংস - শরীর

    গরুর মাংস যেভাবে খেলে শরীরকে চাঙা হবে

    মিষ্টি জান্নাত

    স্টেজ শো করেই কাটাচ্ছেন মিষ্টি জান্নাত

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.