জুমবাংলা ডেস্ক : ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকালে সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। এর আগে, ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে স্থায়ী নিয়োগ পান।
শনিবার (১০ আগস্ট) শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পদত্যাগ করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। দুপুরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পদত্যাগ দাবিতে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বর্ধিত ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। বেলা দেড়টার দিকে জানা যায়, প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দুপুর ২টার দিকে আন্দোলনকারীরা হাইকোর্ট এলাকা ছেড়ে চলে যান।
শনিবার (১০ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভা ডেকেছিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। পরে তা স্থগিত ঘোষণা করেন তিনি।
এই ফুলকোর্ট সভা ডাকাকে ‘জুডিশিয়ারি ক্যু’ সন্দেহ করে হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিল নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। বেলা ১১টার দিকে হাইকোর্ট চত্বরে তিনি বলেন, পদত্যাগ না করলে আমরা প্রধান বিচারপতিসহ দলবাজ বিচারপতিদের বাসভবন ঘেরাও করে পদত্যাগে বাধ্য করব।
এদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন নতুন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ শনিবার সকাল ৯টার দিকে তার নিজস্ব ফেসবুক স্ট্যাটাসে ছাত্র জমায়েতর ডাক দেন। তিনি প্রধান বিচারপতির হঠাৎ করেই ‘ফুল কোর্ট মিটিং’ আহ্বানকে পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র বলে মত দিয়েছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তরুণ এই উপদেষ্টার তার স্ট্যাটাসে লিখেন, ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট ও নানান অপকর্মে জড়িত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সরকারের সাথে কোন প্রকার আলোচনা না করে ফুল কোর্ট মিটিং ডেকেছে। পরাজিত শক্তির যেকোন প্রকার ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই এর প্রতিবাদে জড়ো হয়েছেন। আমরা আগেই প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলাম। ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদেরকে উস্কানি দিলে এর ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হবে।
তিনি তার স্ট্যাটাসে অনতিবিলম্বে বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে পদত্যাগের আহ্বান জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।