ভার্চুয়াল এজিএম : নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন দিয়েছে গ্রামীণফোন

জুমবাংলা ডেস্ক : প্রথমবারের মতো সফলভাবে অনুষ্ঠিত হলো গ্রামীণফোনের ভার্চুয়াল বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। কভিড-১৯ সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ও উপস্থিত শোয়ারহোল্ডার, কর্মী ও অন্য সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ বছর গ্রামীণফোন ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে গতকাল তাদের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা পরিচালনা করে। সভায় গ্রামীণফোন লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ পরিশোধিত মূলধনের ৪০ শতাংশ হারে (প্রতি ১০ টাকার শেয়ারে ৪ টাকা) ২০১৯-এর চূড়ান্ত আর্থিক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্য দিয়ে পরিশোধিত মূলধনের মোট চূড়ান্ত লভ্যাংশের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩০ শতাংশ (৯০ শতাংশ অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশ অন্তর্ভুক্ত)। কর বাদ দিলে ২০১৯ সালে লভ্যাংশের পরিমাণ ৫০ দশমিক ৮৬ শতাংশ। গ্রামীণফোন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভার্চুয়াল এজিএমের ধারণাটি বাংলাদেশে সম্পূর্ণ নতুন। আর গ্রামীণফোনও প্রথমবারের মতো ভার্চুয়ালভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রতিষ্ঠানটির ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারের উপস্থিতি নিশ্চিত করার পাশাপাশি এ সভাকে অর্থবহ ও অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে এজিএমকে বিশেষভাবে ডিজাইন করে।

গ্রামীণফোনের কোম্পানি সেক্রেটারি এসএম ইমদাদুল হকের পরিচালনায় ভার্চুয়াল এজিএমে অংশ নেন গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান পিটার বি ফারবার্গ, প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমানসহ বোর্ডের সদস্য এবং প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

গ্রামীণফোন বোর্ড চেয়ারম্যান পিটার বি ফারবার্গ বলেন, বিশ্ব আজ কভিড ১৯ মহামারীর মোকাবেলা করছে। এ সময় যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন, তাদের জন্য আমার সমবেদনা। এ পরিস্থিতিতে সবাইকে আমরা সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই এবং মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করি। আমরা বিশ্বাস করি, এ পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য সবার সম্মিলিত প্রয়াস একান্ত জরুরি এবং যূথবদ্ধভাবেই আমরা অর্থনীতির ওপর এর বিরূপ প্রভাব নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব এবং সমাজের ক্ষমতায়ন ঘটাতে পারব।