লাইফস্টাইল ডেস্ক : অফিসে কাজের চাপ, পারিবারিক সমস্যা, ওষুধের রিয়্যাকশন, বার্ধক্যজনিক কারণ বা নানা চিন্তার জন্য অনেকেরই রাতের ঘুম ঠিকঠাক হয় না। এতে করে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগ। কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা খুব কম ডোজের ঘুমের ওষুধ দিয়ে থাকেন, কিন্তু অল্পবয়সীদের ক্ষেত্রে সাধারণত ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয় না।
দিনের পর দিন রাতে ঘুম না হলে হজমের সমস্যা, পেটের সমস্যা, অস্বস্তি-সহ একধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে যা পরে মানসিক সমস্যায় পরিণত হয়। এর থেকে মুক্তি দিতে পারে বাইনরাল বিটস। গান শোনার মতোই এই বিটস ঘুম পাওয়ার ক্ষেত্রে যাদুর মতো কাজ করে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এটি একধরনের অডিও ইলিউশন। দু’ধরনের টোনে আলাদা ফ্রিকোয়েন্সিতে একসঙ্গে শোনা। যার একটি থাকবে এক কানে। আর অপরটি আরেক কানে। এটি একটি আলাদা বা তৃতীয় সাউন্ড তৈরি করে। যা সাধারণত কোনও রিদমিক বিট হয়। বলা হয়, এই রিদমিক বিট বা তৃতীয় সাউন্ডটি নিউরনকে নির্দেশ দেয় ইলেক্ট্রিকাল ম্যাসেজকে ট্রান্সমিট করতে আর রিদিমিক বিট-টিই স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটি ম্যানেজ করে। ফ্রন্টিয়ার্স অফ সাইকিয়াট্রিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, খারাপ মেজাজ ভালো করতে অডিও থেরাপির জুড়ি মেলা ভার। আর এ ক্ষেত্রে বাইনরাল বিটসকে কার্যকরী ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে।
বাইনরাল বিটসের আওয়াজ, সাউন্ড ব্রেনের প্রতিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে ও মাথাকে রিল্যাক্স করে, অ্যাংজাইটি দূর করে ঘুমোতে সাহায্য করে। পাশাপশি ব্রেনওয়েভ অ্যাক্টিভিটিকে রিল্যাক্স করে ও অ্যাংজাইটি কমায় যাতে তাড়াতাড়ি ঘুম চলে আসে। এই থেরাপিটি থেটা ব্রেনওয়েভ (যা রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে)-এর মতো ব্রেনওয়েভে কাজ করে। এতে করে ঘুম গভীর হতে কাজ করে।
অনেকেই জানে মাথা ঠাণ্ডা করতে, শরীরকে রিল্যাক্স করতে মিউজিকের গুরুত্ব রয়েছে। সম্প্রতি সায়েন্স ডিরেক্টে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, মানসিক ও শারীরিক চাপ কমাতেও মিউজিক দারুণ কাজ করে। কর্টিসল লেভেলও কমায়। এ’ক্ষেত্রে যে কোনও রিদমিক বিটসের মতোই বাইনরাল বিটসও কার্যকরী ভূমিকা নেয়। উচ্চ রক্তচাপ, শারীরিক ও মানসিক চাপ, হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে।
Get the latest Zoom Bangla News first — Follow us on Google News, Twitter, Facebook, Telegram and subscribe to our YouTube channel.