মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটাররা রান করতে অনেক সংগ্রাম করেছিলেন। দেখা গিয়েছিল স্পিনারদের রাজত্ব। সেই মিরপুরে আজ সৌম্য সরকার-সাইফ হাসানরা স্বচ্ছন্দে খেলেছেন। তৃতীয় ওয়ানডেতে ৩০০ ছুঁই ছুঁই লক্ষ্য দিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ১-১ সমতায় থাকায় আজ তৃতীয় ওয়ানডে হয়ে যায় সিরিজ নির্ধারণী। মিরপুরে তৃতীয় ওয়ানডেতে শুরুটা ভালো হলেও মাঝে হঠাৎ ধস নামে বাংলাদেশের ইনিংসে। শেষ দুই ওভার হাত খুলে খেলে বাংলাদেশ। যদিও স্কোরবোর্ডে ৩০০ রান তুলতে পারেনি স্বাগতিকেরা। শেষ ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৯৬ রানে আটকে গেছে বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে আজ আড়াই বছরের অপেক্ষা ফুরাল বাংলাদেশের। ওয়ানডেতে ৯৪৫ দিন ও ৪৫ ইনিংস পর শতরানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছে দলটি। মিরপুরে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৫২ বলে ১৭৬ রানের জুটি গড়েছেন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য। মিরপুরে এটা ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি।
মিরপুরে আজ যেভাবে স্বচ্ছন্দে খেলছিলেন সাইফ-সৌম্য, তাতে দুজনেরই সেঞ্চুরি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুজনেই সেটা ছুড়ে ফেলে এসেছেন। ২৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রস্টন চেজকে স্লগ সুইপ করতে যান সাইফ। টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় বল লংঅনে তালুবন্দী করেছেন জাস্টিন গ্রিভস। ৭২ বলে ছয়টি করে চার ও ছক্কায় ৮০ রান করেছেন সাইফ।
সাইফ আউট হওয়ার তিন ওভারের মধ্যে বাংলাদেশ হারায় দ্বিতীয় উইকেট। ২৯তম ওভারের প্রথম বলে আকিল হোসেনকে স্লগ সুইপ করেছেন সৌম্য। ডিপ মিড উইকেট থেকে দৌড়ে এসে তালুবন্দী করেছেন আকিম আগুস্তে। ৮৬ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৯১ রান করেছেন সৌম্য। দুই ওপেনারের বিদায়ে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ২৮.১ ওভারে ২ উইকেটে ১৮১ রান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে শান্ত-হৃদয় ৫০ রানের জুটি গড়লেও খেলেছেন ৭০ বল। ৪০তম ওভারের পঞ্চম বলে আথানাজকে তুলে মারতে যান হৃদয়। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে দাঁড়িয়ে থাকা শারফেন রাদারফোর্ড সহজ ক্যাচ ধরেন।
৪৪ বলে ২ চারে ২৮ রান করে হৃদয় ফিরলে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৩৯.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ২৩১ রান। স্বাগতিকদের রান তোলার গতি কমতে থাকে। এমনকি ব্যক্তিগত ৩২ ও ৪১ রানে দুবার জীবন পেয়েও শান্ত আউট হন ৪৪ রানে। ৫৫ বলের ইনিংসে তিন ছক্কা মেরেছেন। ৪৪তম ওভারের তৃতীয় বলে আথানাজ অসাধারণ এক কট অ্যান্ড বোল্ড করেছেন।
শান্ত আউট হওয়ার ঠিক দুই ওভার পরই ধস নামে বাংলাদেশের ইনিংসে। ৪৬তম ওভারে আকিল হোসেনের ঘূর্ণিজাদুতে পরাস্ত হয়ে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, রিশাদ হোসেন ও নাসুম আহমেদ। ছয় নম্বরে নামা রিশাদ করেছেন ৩ রান। তখন বাংলাদেশের জন্য ৫০ ওভার ব্যাটিং করাটাই হয়ে যায় অনেক কঠিন কাজ। ৪৮ ওভার শেষে স্বাগতিকদের স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ২৭৫ রান। শেষ দুই ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজ ও সোহান মিলে যোগ করেন ২১ রান। ইনিংসের শেষ বলে মিরাজকে (১৭) ফিরিয়েছেন গুড়াকেশ মোতি। বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারের খেলা শেষ করেছে ৮ উইকেটে ২৯৬ রানে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।