লাইফস্টাইল ডেস্ক : নিবিড় ভালোবাসা থেকে দু’জন মানুষ সম্পর্কে জড়ায়। কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত যেমন সব সময় থাকে না, তেমনি সম্পর্কেও টানাপোড়েন চলে। সময়ে অসময়ে সেখানে দেখা দেয় নানান বাঁক। কথা-কাটাকাটি, মান-অভিমান, ঝগড়া, কলহ এসব প্রতিটি সম্পর্কেই হয়ে থাকে। কিন্তু কলহ শেষে যেন তিক্ততার কোনো রেশ না থাকে, সেজন্য উভয়পক্ষের প্রচেষ্টার প্রয়োজন। কেননা, সামান্য ভুল আপনাকে নিয়ে যেতে পারে বিচ্ছেদের পথে। আসুন জেনে নিন এমন কিছু বিষয়, যা ঝগড়ার পর ভুলেও সঙ্গীর সঙ্গে করবেন না, নইলে কিন্তু পস্তাতে হবে-
কিছুই হয়নি এমন ভাব নেওয়া
অনেকেই ঝগড়ার পর নির্বিকার আচরণ করেন। কিন্তু সঙ্গীর কাছ থেকে দূরে থাকা কিংবা কথা না বলা কোনো সমাধান নয়। এতে সম্পর্কের তিক্ততা আরও বাড়বে। অমীমাংসিত কলহ ভবিষ্যতে আরও মাথচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তাই সম্পর্কের ক্ষেত্রে সেই জায়গাটুকু আপনাদের নিজেদেরই তৈরি করে নিন। যেখানে মন খুলে একে অপরের প্রতি সব অভিযোগ মেলে ধরতে পারেন।
সঙ্গীকে আঘাত করে কথা বলা
বলা হয়, ‘মুখ থেকে কথা ছুটে গেলে আর বন্দুক থেকে গুলি বের হয়ে গেলে, তা আর ফেরানো যায় না।’ ঝগড়া হয়েছে বলেই মাথা গরম অবস্থায় এমন কিছু বলবেন না, যা সঙ্গীকে আহত করে বা তাঁর মনে গেঁথে যায়। নইলে সঙ্গীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করার জন্য আপনি নিজেই একসময় অপরাধবোধে ভুগবেন।
তৃতীয় ব্যক্তির কাছে সমাধান খোঁজা
ঝগড়ার পর সঙ্গীর সঙ্গে সমস্যা না মিটিয়েই অনেকেই পরিবার বা কাছের বন্ধুবান্ধবের কাছে নিজের যুক্তির স্বীকৃতি খুঁজেন। এতে শুধু সঙ্গীকে অসম্মানই করা হয় না, নিজেদের সম্পর্ককেও ছোট করা হয়। একদিন হয়ত আপনারা দু’জন আবার এক হয়ে যাবেন, কিন্তু সেই ‘তৃতীয়পক্ষ’ ঠিকই আপনাদের সম্পর্কের দোষগুণ বিচার করে যাবেন। যদি একান্তই কারো সঙ্গে আলাপ করতে হয় কিংবা পরামর্শের প্রয়োজন হয়। তবে এমন কারো সঙ্গে আলাপ করুন, যিনি আপনাদের দু’জনেরই খুব কাছের এবং নিরপেক্ষ।
পুরোনো কথার রেশ টানা
নিজের যুক্তিকে ওজনদার করতে কেউ যদি ঝগড়ার পর পুরোনো প্রসঙ্গ তুলে এনে সঙ্গীকে অপদস্থ করতে চান, তবে সে ঝগড়া কোনোদিন শেষ হবে না। পুরোনো কথার রেশ টেনে আনা, আপনার এবং আপনার সঙ্গী উভয়ের সমঝোতার সম্ভাবনাকে ম্লান করে দিবে। এতে সম্পর্কের ওপর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া
ঝগড়ার পর মানুষ স্বভাবতই উত্তেজিত থাকেন এবং জীবনের অন্যান্য সকল ‘আপডেটের’ মতো এই একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপারও কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্মে (ফেসবুক) প্রকাশ করেন। তাঁরা ভুলে যান, চার দেয়ালের বাইরে নিজেদের অভ্যন্তরীণ সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে অন্যের হাসির পাত্র হয়ে গেলেন। এমনকি পরবর্তীতে আপনি সে স্ট্যাটাস মুছে ফেললেও আপনার সম্পর্ক এবং সঙ্গী নিয়ে মানুষের আলোচনা থেমে থাকবে না। এটাই বাস্তবতা।
শতভাগ দায় চাপানো
ঝগড়া বা কলহের জন্য যেমন দুজন মানুষ দায়ী, ঝগড়া মেটাতেও একইভাবে উভয়ের এগিয়ে আসা উচিত। তা না করে, ঝগড়ার পর সম্পূর্ণ দায় সঙ্গীর ওপর চাপালে তা কখনোই শান্তি বয়ে আনবে না। ‘তুমি কখনোই আমাকে বুঝতে পারো না’, এভাবে না বলে বরং বলতে পারেন, ‘আমাদের কথাবার্তার সময় যদি তুমি মনোযোগ না দাও, তাহলে আমার নিজের কাছেই হতাশ আর বিষণ্ন লাগে’। দেখবেন বরফ গলবেই।
তথ্যসূত্র- রিডার্স ডাইজেস্ট, প্যারেড ডট কম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।