জুমবাংলা ডেস্ক : দীর্ঘদিন ধরে ভিক্ষা করলেও আয় হচ্ছিল কম। আয় বাড়াতে প্রয়োজন সঙ্গী। এজন্য নিজের সঙ্গী করতে তিন বছরের এক শিশুকেও অপহরণ করা হয়। কিন্তু শিশুটি কান্নাকাটি করায় অপহরণের দুদিন পর ম্যানহোলে ফেলে হত্যা করা হয়।
নিখোঁজের তিনদিন পর অবশেষে শনিবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের খোলা ম্যানহোল থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এক কিশোরকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
নিহত রোহান চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মসজিদপাড়া মহল্লার সুজন আলীর ছেলে। গত বৃহস্পতিবার থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। আটক কিশোরের নাম নয়ন। তার বাড়ি সদর উপজেলার আরামবাগ এলাকায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অ্যাডিশনাল এসপি মাহবুব আলম খান জানান, সদর থানায় এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পরিদর্শক পদের একজনকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, রোহানের লাশ উদ্ধারের পর হাসপাতালের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত নয়নকে চিহ্নিত করা হয়। পরে তাকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে ডিবি পুলিশের একটি টিম নয়নকে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন জানায়, ভিক্ষার উদ্দেশ্যে রোহানকে অপহরণ করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে হাসপাতালের লাশকাটা ঘরের পেছনে ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলে শিশুটিকে ফেলে দেয়।
অ্যাডিশনাল এসপি জানান, অন্যের বাড়িতে কাজ করেন নয়নের মা আর সে ভিক্ষা করে। ভিক্ষা করতে গিয়ে তার আয় কম হয়। কীভাবে আয় বাড়বে এজন্য ক্রাইম পেট্রোলে অপহরণ ও ভিক্ষার কাহিনি দেখতে শুরু করে। এসব দেখে পার্শ্ববর্তী শিশু রোহানকে অপহরণ করে ভিক্ষার কাজে নামে নয়ন। এতে তার আয় বেড়ে যায়। দুদিন পর রোহান বাড়ি যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করলে মেরে ফেলার হুমকি ও ভয় দেখায় সে। একপর্যায়ে হাসপাতালের ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলে ফেলার সময় নয়নের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে মাথায় আঘাত পায় রোহান। এরপর তাকে ম্যানহোলে ফেলে দেয় নয়ন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।