বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তুগুলো (ইউএফও) নিয়ে পৃথিবীর মানুষের কৌতূহল জমে আছে বহু কাল ধরে। এগুলোকি ভিন গ্রহের প্রাণীদের? উত্তর খুঁজতে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বহু দিন। তাদের দীর্ঘ দিনের সেই গবেষণার ফল প্রকাশিত হল বৃহস্পতিবার।
নাসার প্রতিবেদনে অবশ্য রহস্যের জাল খোলেনি। এতে বলা হয়েছে, ইউএফওগুলোর পেছনে ভিন গ্রহের প্রাণীদের সংশ্লিষ্টতা আছে, এমন প্রমাণ যেমন মেলেনি, আবার ভিন গ্রহের প্রাণীর অস্তিত্ব নেই, সেই সিদ্ধান্তও টানা যাচ্ছে না।
অর্থাৎ ভিন গ্রহের প্রাণী নিয়ে ‘হ্যাঁ’ কিংবা ‘না’- কোনো উত্তরই মিলল না এত দিনের গবেষণায়। তবে নাসা আরও গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার সুপারিশ করেছে। নাসার পরিচালক বিল নেলসন বলেছেন, এটা তাদের একার পক্ষে চালিয়ে যাওয়া সম্ভবপর নয়। তারা আরও তথ্য সংগ্রহ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনকে সহায়তা করতে পারে।
বিভিন্ন সময় পৃথিবীর আকাশে চাকতির মতো কিংবা কাছাকাছি আকারের উড়ন্ত বস্তু দেখার দাবি করেছেন কেউ কেউ। এগুলো আসলে কী, তার ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারেনি বলে এর সঙ্গে ভিন গ্রহের প্রাণীর অস্তিত্বের সম্ভাবনা জড়িয়ে যায়। এই বস্তুগুেলাকে অসনাক্ত উড়ন্ত বস্তু বা ইউএফও বলে ডাকাটা প্রচলিত হলেও নাসা এগুলোকে বলছে- অসনাক্ত অস্বাভাবিক বিষয় বা ইউএপি।
নাসার ৩৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ইউএপিকে পৃথিবীর ‘বড় বিস্ময়’ আখ্যায়িত করে বলা হয়, কথিত ইউএফওগুলোর যে ছবি নিয়ে গবেষণা চালানো হয়, তার অধিকাংশই অস্পষ্ট, যা ধরে বিজ্ঞানসম্মত কোনো উপসংহার টানা কঠিন। যেসব তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে, তা কোনো ধারণার বৈজ্ঞানিক প্রমাণের জন্য যথেষ্ট নয়। ভূ পর্যবেক্ষণে যেসব কৃত্রিম উপগ্রহ রয়েছে, তা দিয়েও ইউএপির মতো ক্ষুদ্র বস্তুগুলো সনাক্ত করা যায়নি।
স্বাধীন ১৬ জন গবেষক নিয়ে গঠিত নাসার এই দলের প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, ইউএপি দেখার কয়েকশ ঘটনা বিশ্লেষণ করে এই উপসংহারে পৌঁছনোর কোনো সুযোগ নেই যে এই ঘটনাগুলোর সঙ্গে মহাজাগতিক কোনো প্রাণীর যোগসূত্র রয়েছে। আবার অচেনা কোনো জীব পৃথিবীর আকাশে তাদের প্রযুক্তির উৎকর্ষের সক্ষমতা দেখাচ্ছে, এটা উড়িয়েও দেওয়া যাচ্ছে না। সংবাদ সূত্র: বিবিসি, নাসা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।