জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকায় একটি ভিসা জালিয়াত চক্র গ্রেফতার হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এ বিষয়ে সতর্কতামূলক বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে তারা বলেছে, মার্কিন ভিসা আবেদন করার জন্য কোনো দালালের আশ্রয় নেওয়ার প্রয়োজন নেই। ভিসা আবেদনে মিথ্যা তথ্য ও নথি উপস্থাপনের ফলে শুধু ভিসা প্রত্যাখ্যানই নয়, প্রার্থীর অযোগ্যতাও বিবেচিত হতে পারে, যা ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাধা হবে।
শুক্রবার ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে।
ভিসা জালিয়াতি সম্পর্কে দূতাবাস তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে সমন্বয় করে পুলিশ ৬ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে, যারা মার্কিন ভিসা আবেদনকারীদের কাছে প্রতারণামূলকভাবে পাসপোর্টে অ্যান্ট্রি এবং এক্সিট স্ট্যাম্প বিক্রি করেছিল। মার্কিন ভিসা আবেদনকারীরা ভিসা আবেদনপত্রে যে তথ্য দেয়, সাক্ষাৎকারে তারা যে নথি দেয়, তার দায়ভার আবেদনকারীদের।
মার্কিন দূতাবাস ভিসা আবেদনকারীদের জন্য সর্বোত্তম নির্দেশিকা দিয়েছে। এগুলো হলো- মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে তথ্য পর্যালোচনা করা, যেকোনো সহায়ক ডকুমেন্টেশনের সঙ্গে আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুত থাকা, ভিসা প্রক্রিয়া এবং সাক্ষাৎকারের সময় সত্য উত্তর দেওয়া।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে ভিসা জালিয়াত চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম উত্তর বিভাগ। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত চারটি জাল সিল ও তিনটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। শুক্রবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতাররা হলেন- পলাশ চন্দ্র দাস, ওয়াহিদ উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম সুমন, মাহবুবুর রহমান খান, আবু জাফর ও আরিফুর রহমান।
ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম উত্তর বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কয়েকটি ভিসা প্রসেসিং প্রতিষ্ঠান মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া ও কম্বোডিয়া ভ্রমণের জাল সিল প্রদান করে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দেয় চক্রটি। বিষয়টি দূতাবাস কর্মকর্তাদের নজরে এলে গত ১৮ জানুয়ারি গুলশান থানায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি মামলা হয়। মামলা তদন্তকালে সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারক চক্রটিকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করে।
সূত্র জানায়, গ্রেফতারদের ভিসা প্রসেসিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে আগ্রহীদের সঙ্গে ১০-১৫ লাখ টাকায় চুক্তি করে ভিসাপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেয়। আগ্রহীদের সম্মতিতে পাসপোর্টের গুরুত্ব বাড়াতে বিভিন্ন দেশের জাল ভিসা এবং বিভিন্ন দেশের জাল সিল পাসপোর্টে সংযুক্ত করে দেয়। পরে জাল ভিসা সংযুক্ত পাসপোর্ট দিয়ে মার্কিন দূতাবাসে সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করে থাকে। এ ধরনের জাল সিল ও জাল ভিসা পাসপোর্টে সংযুক্ত করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।
চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে ডিবির অভিযান অব্যাহত আছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। রিমান্ড আবেদন করে গ্রেফতারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে ডিবি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।