ভূমি মন্ত্রণালয়ের ‘ভূয়া অতিরিক্ত সচিব’ গ্রেপ্তার

জুমবাংলা ডেস্ক: ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাঠ প্রশাসন) দাবি করা প্রতারক মোঃ সাজেদুর রহমান সাজিদকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

গত ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর বিমানবন্দর থানাধীন ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ের কশাইবাড়ী রাস্তার মোড়ে অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব-১ তাকে গ্রেপ্তার করে।

এ সময় প্রতারক সাজিদের নিকট থেকে ১৯২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১০টি ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পরিচয়ের ভিজিটিং কার্ড, ২টি সরকারী জাল সীল, ৫টি মোবাইল ফোন, ১০ সীম কার্ড, ১টি পেনড্রাইভ, ১টি মেমোরি কার্ড এবং প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয়া নগদ ৫ হাজার ১২০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

প্রতারক সাজিদ ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাঠ প্রশাসন) পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে মাঠ পর্যায়ের রাজস্ব প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা/কর্মচারীর কাছে ফোন দিয়ে বিভিন্ন বিকাশ একাউন্টে টাকা পাঠানোর দাবি করে আসছিলেন।

জানা যায়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাঠ প্রশাসন) পরিচয় দিয়ে কতিপয় প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য বেশ কিছুদিন যাবত সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা, মাদক ব্যবসাসহ নানাবিধ অপরাধ সংগঠিত করে আসছিল। এ ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছিল এবং পত্রিকায় বেশ কয়েকবার বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে।

র‍্যাব এ বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু ও গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করার ফলে র‍্যাব-১ ‘মোঃ সাজেদুর রহমান সাজিদ’ নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়। ভূমি মন্ত্রণালয় মাঠ প্রশাসনের সকল পর্যায়ে প্রতারণার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করেছে, এছাড়া সাধারণ জনগণকেও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছে।

র‍্যাব-১ জানায়, প্রতারক সাজিদ ২০০১ সালে রংপুর হতে বি.এ পাশ করে। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে এসআর পদে যোগদান করে। ধৃত আসামী চাকুরীর পাশাপাশি বিগত ১ বছর যাবত প্রতারণার সাথে জড়িত ছিল। নিজেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব/জনসংযোগ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল সে।

প্রতারক সাজিদ ভূমি মন্ত্রণালয়ে কর্মরত তহসিলদারদের চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিয়ে তাদের নিকট হতে নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়াও সে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণার পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত বলে ধৃত আসামী স্বীকার করে।

এর আগে সে ডিবি সদস্য হিসাবে পরিচয় দিয়ে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড করায় পৃথক মামলায় গ্রেফতার হয়েছিল।