সয়াবিন তেল নিয়ে পুনরায় বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। এর আগে সয়াবিন তেলের সংকট হওয়াতে ৮ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সাধারণ জনগণ দাবি করছে যে, রমজানের আগে দাম বাড়ানোর জন্য কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে। একই অভিযোগ রয়েছে বিক্রেতাদের পক্ষ থেকে।
কোম্পানি থেকে তেল পাওয়ার জন্য অগ্রিম টাকা দিলেও তাতে কোন কাজ হচ্ছে না। এই সংকট থেকে অন্যান্য ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করেছে। কনসিউমারস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ জানিয়েছে যে, সরকার যদি কঠোর নজরদারি রাখতে না পারে তাহলে রোজার মাসে বাজারে স্থিতিশীল থাকবে না।
গত নভেম্বর মাসে একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তখন লিটার প্রতি ৮ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন আরো জানায় যে, কোম্পানিগুলো ইচ্ছা করেই নিয়মিত পণ্যের দাম বৃদ্ধি করার নানা সুযোগ খোঁজে।
রমজানের আগে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে ব্যবসায়ীরা। গত বছরও রোজা শুরুর আগে এপ্রিল মাসে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ভোজ্য তেলের মূল্য সমন্বয় করে সরকার। এবারও একই ঘটনার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এরই মধ্যে জানুয়ারি মাসে দু দফায় দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে কোম্পানিগুলো। যদিও সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের তীব্র সংকটে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ ক্রেতারা।
একজন ক্রেতা বলেন, ‘রমজানের পণ্যগুলো একটি সিন্ডিকেট হয় এবং দামও বাড়ে বেশি করে। এটা যে কি বলব, বলার কোনো ভাষা নেই। আমরা সাধারণ মানুষ আছি অনেক কষ্টে। সিন্ডিকেটই বিরাট সমস্যা আমাদের।’
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ করা হচ্ছে কম। রোজার মাস টার্গেট করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে বিপণন প্রতিষ্ঠানগুলো।
একজন বিক্রেতা বলেন, ‘সয়াবিন তেলটা দিচ্ছেই না। গত ৩–৪ মাস ধরে মাঝেমধ্যে তীর তেলটা আসে। এছাড়া কোনো তেল মার্কেটে নেই।’
এ কারসাজি রোধ করার জন্য সরকার মোটেও সতর্ক হচ্ছে না। রমজান মাসে ভোজ্য তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়ে থাকে। আমাদের দেশে সয়াবিন এবং পাম তেলের চাহিদা ২০ লাখ টন এর মত হয়ে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।