জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। তাদের মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা শুনলে হাসি পায়। ভোট চুরি করে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারে না। ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়ার পদত্যাগ সেটাই প্রমাণ করে।
শনিবার (১৫ জুন) সকালে গণভবনে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে আবারও ১৯৭৪ সালের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে আপনাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
দেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, বিএনপির মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা শুনলে হাসি পায়। একাধারে সেনাপ্রধান, তারপর আবার নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় আসে। মসনদে বসেই দল গঠন। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যে দলটি গঠন করে, তাকে আবার জিতিয়ে আনার জন্য ভোট চুরির একটা প্রক্রিয়া এ দেশের শুরু করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে এরশাদ ক্ষমতায় আসে। জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। এ দেশের কৃষক-শ্রমিকরা সব সময় অবহেলিতই থেকে যায়। এরপর আসলো খালেদা জিয়া। সেও ক্ষমতায় আসার পর দেখা গেল, শুধু জনগণের ভোট চুরি করাই না, দেশের কৃষকের ভাগ্য নিয়েও ছিনিমিনি খেলে; সার পাওয়া যাচ্ছে না, কৃষক আন্দোলন করেছে। আন্দোলন করার অপরাধে ১৮ কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছিল।
শেখ হাসিনা সে সময় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন উল্লেখ করে বলেন, খালি কৃষক কেন! রোজার দিনে শ্রমিকরা মজুরির দাবিতে যখন আন্দোলন করে তখনো প্রায় ১৭ শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছিল এ খালেদা জিয়া। বিদ্যুতের দাবি করেছিল কানসাটে; কৃষকরাই সেচের জন্য পানি পাচ্ছিল না। সেখানেও নয়জন মানুষকে হত্যা করা হয়।
ভোট চোরেরা ক্ষমতায় থাকতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একটা প্রহসনমূলক নির্বাচন হয়। মাত্র ২২ শতাংশ ভোট পড়েছিল সেখানে। সরাসরি নির্বাচিত কোনো প্রতিপক্ষ ছিল না। কিন্তু জনগণের ভোট চুরি করলে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারে না। ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়ার পদত্যাগ সেটাই প্রমাণ করে। বাংলাদেশের জনগণ এ ব্যাপারে খুব সচেতন।
তিনি বলেন, বিএনপি শুধু ক্ষমতায় থাকাকালে নয়, বিরোধী দলে থাকাকালেও আন্দোলনের নামে গাছ কেটেছে। আওয়ামী লীগই দেশে প্রথম বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে।
অনুষ্ঠানে ফসলি জমি নষ্ট করে কোনো শিল্পায়ন করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়ে সবাইকে বৃক্ষরোপণ অভিযানে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর নামে বিজ্ঞাপন দিয়ে ফেসবুকে বিরাট প্রতারণার ফাঁদ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।