আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভোট দিয়ে মদের দোকান বন্ধ করেছেন এলাকাবাসী। শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবেই ঘটেছে এমন ঘটনা। গ্রামবাসীর ভোটের পর আর নতুন করে মদের দোকানের লাইসেন্স না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
রবিবার (০৩ মার্চ) বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের পর গ্রামে আনন্দের বন্যা বয়ে গেছে। নাচে গানে উৎসবে এটি উদযাপন করেছেন গ্রামবাসী। আর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানের কোটপুতলি-বেহরোর জেলার কান্সলি গ্রামে।
বিবিসি জানিয়েছে, গ্রামে একশ বছরের বেশি পুরোনো প্রাসাদ রয়েছে। গ্রামটি থেকে অনেক নামকরা ব্যবসায়ী ও আমলারা উঠে এসেছেন। সেখানকার একটি সরকারি স্কুলে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মদের দোকান বন্ধের জন্য ভোটের আয়োজন করেছিল।
কোটপুতলি-বেহরোরের অতিরিক্ত জেলা কালেক্টর যোগেশ কুমার ডাগুর জানান, পঞ্চায়েতের তিন হাজার ৮৭২ জন ভোটারের মধ্যে দুই হাজার ৯৩২ জন ভোট দিয়েছেন। এরমধ্যে দুই হাজার ৯১৯ জন দোকান বন্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর পক্ষে ভোট দিয়েছেন মাত্র চারজন। আর ৯টি ভোট বাতিল করা হয়েছে।
যোগেশ কুমার বলেন, ২০২২ সালের জুনে গ্রামে মদের দোকান বন্ধে স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করেছিলেন। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে তৎকালীন মহকুমা কর্মকর্তা স্থানীয় প্রশাসনকে সমীক্ষা চালাতে নির্দেশ দেন। ওই সমীক্ষায় ২৪ শতাংশ লোক দোকান বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছিলেন।
ম্যাজিস্ট্রেট সমীক্ষাটি আবগারি কমিশনারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকে ভোটগ্রহণের জন্য প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তখন ভোটের ব্যবস্থা করা যায়নি।
রাজ্যের আবগারি আইনানুযায়ী, স্থানীয় ভোটারদের অর্ধেকের বেশি যদি দোকান বন্ধের পক্ষে রায় দেন তাহলে প্রশাসন দোকানটি বন্ধ করে দেয়। ফলে ভোটাভুটির পর বিষয়টি আবগারি কমিশনারকে অবগত করা হয়। এরপর সেখান থেকে দোকান বন্ধের নির্দেশনা জারি করা হয়।
আবগারি কমিশনার অংশদীপ বলেন, মদের দোকান বন্ধের পক্ষে ভোট হয়েছে। আগামী অর্থবর্ষ অর্থাৎ পহেলা এপ্রিল থেকে কান্সলি গ্রাম পঞ্চায়েতে মদের দোকান বরাদ্দ করা হবে না। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।