জুমবাংলা ডেস্ক : আগামীকাল রবিবার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তার জন্য দেশজুড়ে র্যাবের প্রায় ৭০০ টহল দল দায়িত্ব পালন করবে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। নির্বাচনে অপরাধ ঠেকাতে এবারের প্রথম ‘ওআইভিএস বা অনসাইট আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেমস’ নামের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
আজ রবিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের সাতশ’র মত মোবাইল পেট্রল কাজ করবে। সে সঙ্গে আমাদের সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকবে। আমাদের সাইবার পেট্রলিং-এর কাজ চলছে বিভিন্ন ধরনের গুজব প্রতিরোধ করার জন্য। আমাদের সুইপিং টিম কাজ করছে। থাকবে ডগ-স্কোয়াড, বোম স্কোয়াড থাকবে। বিশেষ কোনো জরুরি প্রয়োজন হলে আমাদের হেলিকপ্টার স্ট্যান্ডবাই থাকবে।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘সারা দেশে আমাদের র্যাবর ইউনিট রয়েছে সেখানে আমরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রোবাস্ট পেট্রলিং (জোরালো নজরদারি) করছি।
র্যাব মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘ওআইভিএস ডিভাইস ব্যবহার করা হচ্ছে। এক এলাকার ভোটার ব্যতীত অন্য এলাকার বহিরাগত আসতে চাইলে তাকে যেন আইডেন্টিফাই করা যায়। আমরা এ ব্যবস্থা রেখেছি যাতে করে বহিরাগতরা ভোট সেন্টারে প্রবেশ করতে না পারে।’
এই সিস্টেমের মাধ্যমে বহনযোগ্য ডিভাইসের মাধ্যমে যে কোনো জায়গায় থাকা কোনো ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপ, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর বা জন্ম তারিখের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হয়। বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, এই সিস্টেমের অন্যতম ডেভেলপার র্যাবের কমিউনিকেশন্স ও এমআইএস শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, ‘এই প্রযুক্তি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অপরাধী শনাক্ত করতে সাহায্য করবে। আগে কোনো অপরাধীকে ধরলে তাকে র্যাবের অফিসে নিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট, এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হতে হতো। কিন্তু এই ডিভাইস স্পটেই ব্যক্তির
যেভাবে কাজ করে এই প্রযুক্তি
ওআইভিএস প্রযুক্তি তালিকাভুক্ত অপরাধীকে শনাক্ত করার পাশাপাশি সন্দেহভাজনদের তালিকায় থাকা ব্যক্তি বা অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মরদেহ শনাক্তেও ব্যবহার করা হচ্ছে।
কমান্ডার মঈন জানান, গাজীপুরে এক প্রকৌশলীর মরদেহ পাওয়া যায় সাভারে। ওই মরদেহ শনাক্ত করার ক্ষেত্রে এই ডিভাইস ব্যবহার করা হয়। মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পর সাধারণত মরদেহের হাতের আঙ্গুলের ছাপ অক্ষত থাকে না। তখন মরদেহ শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই মরদেহের পরিচয় শনাক্তে ক্ষেত্রে ডিভাইস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এই সিস্টেম ব্যবহার করে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির ঠিকানা খুঁজে পাওয়ার কথাও জানান র্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন। বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে কুমিল্লায় একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি তার নিজের পরিচয় বলতে পারছিলেন না। পরে এই ডিভাইসের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।’
এই ডিভাইসের মাধ্যমে অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করে মঈন বলেন, ‘অনেক সময় অপরাধীরা মিথ্যা পরিচয় দেয়। সে রকম ক্ষেত্রে এই ডিভাইস ও সিস্টেমের মাধ্যমে অপরাধীর আসল পরিচয় জানা সম্ভব হবে।’
এছাড়া সন্দেহভাজন অপরাধী বা ব্যক্তির তথ্য এই সিস্টেমে এন্ট্রি করে রাখা যাবে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট, এনআইডি ও জন্ম তারিখের পাশাপাশি ছবির মাধ্যমেও ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।